সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্র-রাজ্য একাধিক যৌথ প্রকল্পের কাজকর্ম নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে কেন্দ্রের। কী ১০০ দিনের কাজ, কী আবাস যোজনা, কী মিড ডে মিল – সবেতেই ‘দুর্নীতি’র যোগ খুঁজে পেয়েছে কেন্দ্র। যার জেরে কিছু কিছু প্রকল্পের টাকা আটকেও দেওয়া হয়েছে। যৌথ পর্যালোচনা মিশনকে (JRM) কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের দেওয়া রিপোর্টে মিড ডে মিলে ১০০ কোটি গরমিলের উল্লেখ করা হয়েছে। সেই রিপোর্টে সইও নেই রাজ্যের প্রতিনিধির। সেই রিপোর্টের জবাবে পালটা টুইট করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তাঁর দাবি, হিসেব করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, দুর্নীতি দূর অস্ত, সাশ্রয় হয়েছে ওই প্রকল্পে। যৌথ মিশনের চেয়ারপার্সনের কাছে এমন রিপোর্টের জন্য তিনি জবাবদিহি চেয়েছেন।
ব্রাত্য বসু ‘মিড ডে মিল প্রসঙ্গ: রটনা ও ঘটনা’ শীর্ষনাম দিয়ে টুইট করেছেন। তাতে তিনি জানান, জেআরএম অর্থাৎ যৌথ পর্যালোচনা মিশনের একমাত্র প্রতিনিধির তড়িঘড়ি জমা দেওয়া রিপোর্টে মিড ডে মিলে (Mid day meal) ১০০ কোটির ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে হিসেব করতে বসে দেখা যাচ্ছে, নয়ছয় নয়, একই সময়ে এই প্রকল্পে ১৮.৮ কোটি সাশ্রয় করেছে রাজ্য সরকার। এই হিসেব দিয়েই ব্রাত্যর খোঁচা, ”অযথা চায়ের কাপে তুফান না তুলে জেআরএমের মাননীয় চেয়ারপার্সন কি এই নজিরবিহীন অপদার্থতার যোগ্য জবাবদিহি করবেন অনুগ্রহ করে?”
[আরও পড়ুন: AI ব্যবহারের ফল, এবার পর্ন ছবিতে দেখা যেতে পারে আপনার মুখও! আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের]
গত সপ্তাহে এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট পেশ হয় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের কাছে। তাতে উল্লেখ ছিল, ২০২২ সালের প্রথম দুই ত্রৈমাসিকের রিপোর্টে গরমিল রয়েছে। বলা হয়েছে, এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ১৪০ কোটি ২৫ লক্ষ মিড ডে মিল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জেলা থেকে রাজ্যের কাছে জমা দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১২৪ কোটি ২২ লক্ষ মিড ডে মিল দেওয়া হয়েছে। ১৬ কোটি মিড ডে মিল বাবদ ১০০ কোটি টাকার অতিরিক্ত হিসেব দেওয়া হয়েছে। আর এই ১০০ কোটি নিয়েই ফের শুরু হয় রাজ্য-কেন্দ্র চাপানউতোর। রিপোর্টকে হাতিয়ার করে আসরে নামেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। কিন্তু সবার সব অভিযোগ উড়িয়ে হিসেব দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।