সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রাজিল (Brazil) শেষবার বিশ্বকাপ জিতেছে ২০০২ সালে। তার পর কেটে গিয়েছে কুড়িটি বছর। ব্রাজিলে আর যায়নি বিশ্বকাপ। তার থেকেও বড় কথা প্রতিবার ইউরোপীয় শক্তির কাছেই হার মেনে টুর্নামেন্ট থেকে বারংবার ছিটকে যেতে হয়েছে সেলেকাওদের।
২০০২ সালের পরে কোয়ার্টার ফাইনালে পেলের দেশ পৌঁছেছে তিন-তিনবার। আর প্রতিবারই ব্রাজিলের মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে হাজির হয়েছে ইউরোপ।
[আরও পড়ুন: ‘গোল করে নেইমাররা নাচলে আমার রাগই হবে’, বলছেন আইএসএল খেলে যাওয়া ক্রোয়েশিয়ান ফুটবলার]
কাতার বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের মুখোমুখি ক্রোয়েশিয়া (Croatia)। আবারও ইউরোপের একটি দেশের সামনে নেইমাররা। এবার কী হবে? সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ফুটবলমহলে। ২০০২ বিশ্বকাপে জার্মানিকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল। এর চার বছর বাদে শেষ আটে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ ছিল ফ্রান্স। কিন্তু থিয়েরি অঁরির গোলে সেবার ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
২০১০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপেও কোয়ার্টার ফাইনালে থেমে যায় ব্রাজিলের দৌড়। সেবারের দলে ব্যাপক রদবদল হয়েছিল। রোনাল্ডো, রোনাল্ডিনহো, রিভাল্ডোরা ততদিনে সরে গিয়েছেন। শেষ আটের লড়াইয়ে ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়েছিল নেদারল্যান্ডস। ব্রাজিল প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল রবিনহোর গোলে। কিন্তু বিরতির পর খেলার পুরো ছবি বদলে যায়। স্নেইডার জোড়া গোল করে ম্যাচ নিয়ে যান নিজেদের ক্যাম্পে। আর্জেন রোবেনের দৌড় ব্রাজিলকে বিপন্ন করে। নেদারল্যান্ডস ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে চলে যায় সেমিফাইনালে। ব্রাজিল ফিরে আসে দেশে।
২০১৪ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে বিধ্বস্ত হয়েছিল ব্রাজিল। সেই ম্যাচ ব্রাজিল ভক্তরা চিরকাল মনে রাখবেন। জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে বিপর্যয় ঘটে ব্রাজিলের। চোখের জলে বিদায় নেন ডেভিড লুইস-অস্কাররা। কোয়ার্টার ফাইনালে অবশ্য ব্রাজিল হারিয়েছিল কলম্বিয়াকে। জুনিগার মারাত্মক ফাউলে মাঠের বাইরে চলে যান নেইমার। শেষ চারের লড়াইয়ে নামা হয়নি তাঁর। ম্যাচের বিরতিতে জোয়াকিম লো তাঁর ছেলেদের বলেছিলেন, ব্রাজিলকে আর অপদস্থ করো না।
গতবারের বিশ্বকাপে ব্রাজিলের দৌড় থামিয়ে দেয় বেলজিয়াম। কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা সেবারও টপকানো সম্ভব হয়নি নেইমারদের পক্ষে। ২০০২ সালের পর থেকে ইউরোপিয়ান দলের কাছে ব্রাজিলের হার একপ্রকার নিয়মে পর্যবসিত হয়েছে। এবার কি ঘুরবে ইতিহাসের চাকা?