shono
Advertisement

পাত্রীর ১০ কোটি টাকা থাকলে তবেই বিয়ে, আজব বিজ্ঞাপন স্কুল শিক্ষকের

এমন বিজ্ঞাপনে রীতিমতো ক্ষুব্ধ নারীবাদিরা। The post পাত্রীর ১০ কোটি টাকা থাকলে তবেই বিয়ে, আজব বিজ্ঞাপন স্কুল শিক্ষকের appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 10:50 AM Jul 08, 2019Updated: 12:56 PM Jul 08, 2019

নব্যেন্দু হাজরা: ‘ঘরজামাই থাকতে চাই। শিলিগুড়িতে ছোট ও উচ্চবিত্ত পরিবারে পাত্রীর ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি থাকা চাই। প্রকৃত বিয়ে করতে ইচ্ছুক এমন পাত্রী যোগাযোগ করুন।’ বিশ্বাস না হলে আবারও পড়ুন।

Advertisement

বেশি বয়সে বিয়ে। বা যৌন ক্ষমতায় অক্ষম পাত্রের পাত্রী চাই। বা সন্তান ধারণে অক্ষম পাত্রীর পাত্র চাই। এই ধরনের বিয়ের বিজ্ঞাপন অতীতেও দেখা গিয়েছে খবরের কাগজের বিজ্ঞাপনে। অনেক ক্ষেত্রেই পাত্র বা পাত্রী নিজেদের চাহিদার কথা খোলসা করে জানিয়েছেন সেখানে। কিন্তু মেয়ের ১০ কোটি টাকা থাকলে তবেই বিয়ে করবেন, এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন উত্তরবঙ্গের এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক পাত্র। আর সম্প্রতি এক বাংলা দৈনিকে বিয়ের এহেন বিজ্ঞাপন দেখে রীতিমতো পাত্রের মাথা ঠিক আছে কি না সেই প্রশ্নই তুলেছেন অনেকে। আর এমন বিজ্ঞাপনে রীতিমতো ক্ষুব্ধ নারীবাদিরা। তাঁদের কথায়, ওই স্কুলশিক্ষক এই বিজ্ঞাপন দিয়ে সমগ্র নারী জাতিকে অপমান করেছেন।

[আরও পড়ুন: বিজেপি সমর্থক হওয়ার ‘শাস্তি’? পুকুরে বিষ মেশানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে]

পাত্রের বয়স ৪২। ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি লম্বা। পরিবারের একমাত্র পুত্রের বাড়ি উত্তরবঙ্গের কালিয়াগঞ্জে। নিরামিষভোজী পাত্র আবার ঘরজামাই থাকতে চান বলেই জানিয়েছেন বিজ্ঞাপনে। শিলিগুড়িতে থাকলে তবেই বিয়ে করবেন তিনি এমন কথাও উল্লেখ করেছেন। এমন পাত্রের বহর দেখে ভিরমি খেয়েছেন অনেক মেয়ের বাবাই। ১০ কোটি টাকা থাকলে এমন পাত্রের সঙ্গে কেনই বা কেউ বিয়ে দেবেন পাত্রীকে সে প্রশ্নও করেছেন। তবে প্রশ্ন উঠেছে ওই পাত্রের পেশা নিয়ে। একজন স্কুলশিক্ষক কীভাবে এই ধরনের চাহিদার কথা কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানান, সে কথাই বলতে শুরু করেছেন তাঁরা। প্রশ্ন তুলেছেন মনোবিদরাও। তাঁদের কথায়, পণ নিয়ে বিয়ে করা এটাই তো বেআইনি। এখানে তো আবার টাকার কথাও উল্লেখ করেছেন পাত্র। এক মনোবিদ রসিকতা করে বলেন, “যিনি এই ধরনের বিজ্ঞাপন দিয়েছেন, তিনি ১০ কোটি টাকা গুনতে পারবেন তো! ওই ব্যক্তির বাস্তব সম্পর্কে কোনও জ্ঞান নেই। তাই এই ধরনের বিজ্ঞাপন দিয়েছেন।”

এবিষয়ে মনোবিদ দোলা মজুমদার বলেন, “এটা বিকৃত মানসিকতার পরিচয়। কোনও একটা উদ্দেশ্য নিয়ে ওই ব্যক্তি এই সব লিখছেন। সুস্থ কোনও ব্যপার নেই। তাঁর পারসোনালিটিতে প্রবলেম আছে। তিনি চাকরি আদৌ করেন কি না সন্দেহ! ওই পাত্রকে কেউই বিয়ে করতে রাজি হবেন না আশা করি।”

[আরও পড়ুন: ‘দাদা হিসাবে পরামর্শ দিতে এসেছি’, সব্যসাচীর সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বার্তা মুকুলের]

পাত্রের বাড়ি উত্তরবঙ্গে আর তিনি যে উত্তরবঙ্গেই বিয়ে করতে চান সেকথাও উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি বিজ্ঞাপনে লিখেছেন প্রকৃত বিয়ে করতে ইচ্ছুক এমন পাত্রীই যেন ফোন করেন। তবে ওই পাত্রের দেওয়া ফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সন্ধের পর আর ওই পাত্রের ফোন খোলা পাওয়া যায়নি। কারও মতে বিজ্ঞাপন দেখে বহু লোকের বিদ্রুপের মুখে পড়ে বাধ্য হয়েই হয়তো ফোন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন ওই পাত্র। ঘটনায় বিস্মিত অনেকেই। প্রশ্ন তুলেছেন, একজন শিক্ষকের যদি এই রুচি হয়, তবে ছাত্ররাই বা তাঁর থেকে কী শিখবে!

The post পাত্রীর ১০ কোটি টাকা থাকলে তবেই বিয়ে, আজব বিজ্ঞাপন স্কুল শিক্ষকের appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement