সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যৌন হেনস্তার অভিযোগে জাতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি তথা উত্তরপ্রদেশের বাহুবলী বিজেপি (BJP) নেতা ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে (Brij Bhushan Sharan Singh) কাঠগড়ায় তুলেছেন সাত মহিলা কুস্তিগির। দিল্লির যন্তরমন্তর চত্বরে আন্দোলন চালাচ্ছেন ভিনেশ ফোগাট, বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকদের মতো বিশ্বমঞ্চে পদকজয়ী কুস্তিগিররা। এই অবস্থায় পালটা শক্তি প্রদর্শনে আগামী ৫ জুন অযোধ্যায় বিরাট সভার ডাক দিয়েছেন ব্রিজভূষণ। যদিও উল্লেখযোগ্য ভাবে এই প্রথমবার দল তাঁর সঙ্গে নেই। অযোধ্যা বিজেপি জানিয়ে দিয়েছে, ওই সভায় দলীয় নেতা-কর্মীরা থাকবেন না। ব্রিজভূষণের সভা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত।
দীর্ঘ লড়ায়ের পর সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। বর্তমানে তাঁর গ্রেপ্তারি এবং জাতীয় কুস্তি ফেডারেশন থেকে তাঁকে পদচ্যূত করার দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন দেশের গৌরব কুস্তিগিররা। যদিও আশ্চর্যজনক ভাবে অভিযুক্তের সম্পর্কে নীরব দল। সব মিলিয়ে তিনি যে গেরুয়া শিবিরের প্রভাবশালী তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে গত কয়েক মাসে। এই অবস্থায় ব্রিজভূষণের থেকে অযোধ্যা বিজেপির এই দূরত্ব তাৎপর্যপূর্ণ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মন্তব্য, কুস্তিগিরদের লাগাতার আন্দোলন তৎসহ জনমতের চাপ শেষ পর্যন্ত অনুভব করছে দল।
[আরও পড়ুন: নতুন সংসদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুধুই মোদিময়! বয়কটের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল তৃণমূল]
অযোধ্যার রাম কথা পার্কে ‘চেতনা মহা সভা’র ডাক দিয়েছেন ব্রিজভূষণ। এক সময় যাঁর বিরুদ্ধে ছিল ৬০টিরও বেশি ফৌজদারি মামলা। এই সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের সাধুসন্ত, সমাজকর্মী, আইনজ্ঞদের। উল্লেখ্য, তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়ার পর রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে দূরে ছিলেন ব্রিজভূষণ। তবে অযোধ্যার সমাবেশের আমন্ত্রণ জানাতে গত সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশের একাধিক জেলায় সফর করছেন তিনি। যদিও অযোধ্যা জেলা বিজেপির সভাপতি সঞ্জীব সিংয়ের বক্তব্য, “এই সমাবেশের সঙ্গে বিজেপি যুক্ত নয়। শীর্ষ নেতৃত্ব বললে তবেই আমরা থাকব। এখন পর্যন্ত এমন নির্দেশ পাইনি।” অযোধ্যা বিজেপির আরেক নেতার বক্তব্য, “দলের কর্মীরা এই সমাবেশে যোগ দেবেন না। কারণ ব্রীজভূষণ ব্যক্তিগত স্তরে এই সভার আয়োজন করেছেন।”