সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে আইনি 'হুমকি' আইসিসিকে! সূত্রের খবর, টুর্নামেন্টের সূচি নিয়ে জলঘোলার মধ্যেই নাকি কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থাকে। বলা হয়েছে, যদি সূচি মনোমত না হয় তাহলে আইনি সংঘাতের মধ্যে পড়তে হতে পারে আইসিসিকে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হতে আর ১০০ দিনও বাকি নেই। কিন্তু ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আয়োজক দেশ পাকিস্তানে গিয়ে তারা খেলবে না। ভারতের মতে, ক্রিকেট দলের উপর বড়সড় হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা। পাকিস্তানের আমজনতা হয়তো ভারতীয় ক্রিকেটারদের উষ্ণ আতিথেয়তা জানাবে, কিন্তু পাকভূমে রোহিত শর্মাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের উপরে হামলার উদাহরণও উল্লেখ করা হয়েছে বিসিসিআইয়ের তরফে।
অন্যদিকে নিজের অবস্থানে অনড় পাকিস্তানও। সেদেশের সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কোনও ম্যাচ পাকিস্তান থেকে সরানো হবে না। হাইব্রিড মডেলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করতে নারাজ পাকিস্তান। এহেন পরিস্থিতিতে আচমকা জল্পনা ছড়ায়, হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করার জন্য পাক বোর্ডের সঙ্গে নাকি লাগাতার আলোচনা করছে আইসিসি। সেই সঙ্গে চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দিনক্ষণ এবং সূচিও। চলতি সপ্তাহেই হয়তো সেই সূচি প্রকাশিত হবে।
তার পর থেকেই প্রশ্ন ওঠে, শেষ পর্যন্ত পুরো টুর্নামেন্ট কি পাকিস্তানেই হবে? নাকি হাইব্রিড মডেলে আয়োজন করতে রাজি হবে পাক বোর্ড? হাইব্রিড মডেলে খেলা হলে পাকিস্তান টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করবে বলেও জল্পনা ছিল। এহেন পরিস্থিতিতে ক্রিকেট পাকিস্তান নামে এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, টুর্নামেন্টের সম্প্রচারকারী সংস্থাগুলো আইসিসিকে নাকি 'হুমকি' দিয়েছে। তাদের দাবি, যেভাবেই হোক ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ রাখতেই হবে টুর্নামেন্টে। এই মেগাম্যাচ না হলেই আইসিসির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করবে সম্প্রচারকারী সংস্থাগুলো। সবমিলিয়ে, পাক বোর্ডের অনড় মনোভাবের পাশাপাশি সম্প্রচারকারী সংস্থাগুলোর 'হুমকি' পেয়ে বেশ চাপে থাকবে আইসিসি।