সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বোনের সঙ্গে ঝগড়া করত, তাই বোনের লিভ ইন সঙ্গীকে নাপসন্দ দাদাদের। আর তাই সঙ্গীর মাথা থেঁতলে খুন করে দেহ নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল যুবতীর পরিবারের বিরুদ্ধে। মহারাষ্ট্রের এই ঘটনায় অভিযুক্ত তিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জেরায় তাঁদের স্বীকারোক্তি, বোনের সঙ্গে ঝগড়া করত তাঁর লিভ ইন সঙ্গী। তাই তাঁকে খুন করে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছেন।
মহারাষ্ট্রের কল্য়াণ এলাকায় শেহবাজ শেখ (২৫) এক বিবাহবিচ্ছিন্না মহিলার সঙ্গে লিভ ইন করতেন। তাঁদের চার সন্তানও ছিল। শুক্রবার সন্ধে থেকে আচমকাই গায়েব হয়ে যান শেহবাজ। ছেলের খোঁজ না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন যুবকের বাবা। তদন্তে নেবে শেহবাজের লিভ ইন পার্টনারের দুই দাদা ও তাঁদের এক বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের জেরা করতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের আলোচনার মাঝেই জয়ী TMC প্রার্থীকে খুনের চেষ্টা! কাঠগড়ায় বিজেপি]
শেহবাজ ও তাঁর সঙ্গীর মধ্যে মাঝেমধ্যেই অশান্তি হত। শুক্রবারও অশান্তি করে এক সন্তানকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। গন্তব্য় ছিল বাবা-মায়ের বাড়ি। মাঝ পথে শেহবাজকে জোর করে অটোয় তোলে তাঁর বান্ধবীর দাদারা। আর শেহবাজের সন্তানকে বাড়িতে বোনের কাছে রেখে যায়। এরপর একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গেয়ে হাতুড়ি দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। এরপর দেহাংশ নদীতে ফেলে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে। যদিও শেষরক্ষা হল না। পুলিশের জালে লিভ ইন পার্টনারের দুই দাদা ও তাঁদের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। ধৃতদের নাম ইসরার শেখ ও তাঁর ভাই শোহেব এবং তাঁদের হেমন্ত বিচওয়াদে।