সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের আপত্তি উড়িয়ে দ্রুতই উত্তর কাশ্মীরের গুরেজে কিষাণগঙ্গা হাইড্রো-ইলেকট্রিক প্রকল্পের উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই ৩৩০ মেগাওয়াটের এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারেন তিনি৷ গত কয়েক মাস ধরে এই প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়েছে৷ প্রথম থেকেই এই প্রকল্পে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে পাকিস্তান৷ কিন্তু শেষমেশ জয় হল ভারতেরই!
[আম্বেদকর-মোদি তো আদতে ব্রাহ্মণ, গুজরাটের স্পিকারের মন্তব্যে শোরগোল]
কিষাণগঙ্গা নদীর উপর প্রায় ৩৭ মিটার উঁচু কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণ করে এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি তৈরি হয়েছে৷ পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর উপর এই প্রকল্পটি অবস্থানগত কারণে ভারতের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ প্রকল্পটির কাজ সম্পূর্ণ হলে নদীর জলকে ২৩.২৫ কিলোমিটার লম্বা একটি টানেলের মাধ্যমে মাটির নিচে মূল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটিতে পাঠানো যাবে৷ এর ফলে প্রতি বছর ১৭১৩ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে৷ ন্যাশনাল হাইড্রো-ইলেকট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশন বা NHPC জানিয়েছে, এই প্রকল্প থেকে মোট উৎপাদিত শক্তির ১২% জম্মু ও কাশ্মীরে ব্যবহৃত হবে৷
এই প্রকল্পে মোট তিনটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে৷ প্রতিটি ১১০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে৷ এপ্রিল মাসের গোড়া থেকেই পুরোদমে কাজ শুরু করে দিয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি৷ NHPC জানিয়েছে, তিনটি কেন্দ্রের মধ্যেই সমন্বয় সাধন করা গিয়েছে ও পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক ৩৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎই উৎপাদিত হচ্ছে৷ শ্রীনগরের উত্তরে বান্দিপোরা জেলার গুরেজে এই প্রকল্পটি গড়ে তোলা হয়েছে৷ পাকিস্তান বারবার এই প্রকল্পের কাজে হস্তক্ষেপ করে প্রকল্পটির কাজ বন্ধ করে দেওয়ার দুঃসাহসিক চেষ্টা করেছে! সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তির শর্তকে ঢাল করে পাকিস্তান বছরের পর বছর এই প্রকল্পের কাজ বন্ধ করতে চেয়েছে৷ এই দ্বন্দ্বের মধ্যে টেনে আনার চেষ্টা করেছে বিশ্বব্যাংককেও৷ কিন্তু বিশ্বব্যাংকও দুই যুযুধান দেশকে ঐক্যমতে আনতে পারেনি৷ পাকিস্তান প্রকল্পটির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয়৷ ইসলামাবাদের দাবি, কিষাণগঙ্গা প্রকল্পটি সে দেশের নীলম-ঝিলম হাইড্রো-পাওয়ার প্ল্যান্টের কাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে৷ যদিও আন্তর্জাতিক আদালত শর্তসাপেক্ষে ভারতের পক্ষেই মামলার রায় শোনায়৷