অর্ণব আইচ: করোনা পরিস্থিতিতে অক্সিমিটারের চাহিদা তুঙ্গে। আর সেই সুযোগেই বাংলাদেশ হয়ে কলকাতায় চোরাপথে প্রচুর চিনা অক্সিমিটার পাচারের ছক কষেছিল পাচারকারীরা। কলকাতায় পৌঁছানোর আগেই সীমান্ত থেকে বিএসএফের গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ল ১৭ লাখ টাকার উপর চিনা অক্সিমিটার। গালওয়ানের ঘটনার পর চিনা দ্রব্য বর্জন করেছেন বহু মানুষ। নতুন করে চিনা দ্রব্য আমদানি প্রায় হচ্ছেই না বলতে গেলে। তাই এবার বাংলাদেশ হয়েই ঘুরপথে চিনা অক্সিমিটার পাচারের ছক কষা হয়।
যদিও কলকাতায় কার হাতে এই বস্তু পাচার করা হচ্ছিল, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় বিএসএফের গোয়েন্দারা। উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোলের বাসিন্দা সুকুমার নামে এক ব্যক্তির সন্ধান চালিয়ে এই রহস্যের সমাধান করতে চাইছে বিএসএফ ও পুলিশ। বিএসএফের সূত্র জানিয়েছে, বুধবার রাতে বিএসএফের গোয়েন্দারা পেট্রাপোলে বাংলাদেশ থেকে আসা একটি মালবাহী গাড়ি পরীক্ষা করতে গিয়ে চালকের কেবিন থেকে পাঁচটি সাদা রঙের বস্তা উদ্ধার করেন। বস্তাগুলি খুলতেই বেরিয়ে পড়ে তিন ধরনের চিনা অক্সিমিটার। জেরার মুখে গাড়ির চালক জানি বৈদ্য দাবি করে, বাংলাদেশ থেকে আসার সময় বাংলাদেশের বেনাপোলে বাপি মন্ডল নামে এক ব্যক্তি তাকে এই বস্তাগুলি দেয়। বলে, পেট্রাপোলে সুকুমার নামে এক ব্যক্তি তার কাছ থেকে এগুলি নিয়ে নেবে। তার বদলে তাকে ৫০০ টাকা দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: মেডিক্যালে পিপিই পরা ‘চোর’, করোনা আক্রান্তের গয়না চুরির চেষ্টা করে আটক হাসপাতালেরই কর্মী]
গোয়েন্দারা জেনেছেন, সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অক্সিমিটার এর চাহিদা ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কতটা রয়েছে তা জানতে এই যন্ত্রটি এখন ঘরে ঘরে। এই অক্সিমিটার যে বনগাঁ হয়ে কলকাতায় আসত, সেই সম্পর্কে নিশ্চিত গোয়েন্দারা। যেগুলি উদ্ধার হয়েছে, তার মধ্যে একটি অক্সিমিটারের মডেলের দাম ১ হাজার ৮০০ টাকা। বাকি দুটি মডেলের দাম হাজার টাকা করে। এই চক্রের মাথাদের সন্ধানে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসএফ।
The post বাংলাদেশ হয়ে কলকাতায় চিনা অক্সিমিটার পাচারের ছক, ধরলেন বিএসএফের গোয়েন্দারা appeared first on Sangbad Pratidin.