সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাচারের আগে পর্দাফাঁস। মুর্শিদাবাদের ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে ৬০০ কিলোগ্রাম ইলিশ মাছ বাজেয়াপ্ত করল বিএসএফ। যার বাজারদর অন্তত ১০ লক্ষ টাকা।
অন্যান্য দিনের মতো শনিবার ফরাজিপারা সীমান্তে স্পিডবোটে টহল দিচ্ছিলেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। সেই সময় তাঁরা দেখতে পান, জলে পাটের জাগ ভেসে যাচ্ছে। তবে ভাল করে খতিয়ে দেখে তাঁরা বুঝতে পারেন পাটের জাগের তলায় প্লাস্টিকের কোনও অংশ লুকিয়ে রয়েছে। কাছাকাছি গিয়ে তাঁরা বুঝতে পারেন এভাবে লুকিয়ে ভারতে ইলিশ আনা হচ্ছে। বাংলাদেশের দিক থেকে চার-পাঁচজন জলের তলায় ডুবে সেই ইলিশ মাছ নিয়ে আসছিল বলেই সীমান্তরক্ষী বাহিনী সূত্রে খবর। বিষয়টি বিএসএফের নজরে পড়তেই পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। তবে এভাবে যে প্রায়শয়ই ইলিশ পাচার করা হচ্ছে তা আগেই খবর পেয়েছিলেন গোয়েন্দা। ইলিশ পাচার রুখতে নজরদারি তাই জোরদার করা হয়েছিল। তার ফলে ইলিশ বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হওয়া ৬০০ কেজি ইলিশের বাজারমূল্য কমপক্ষে ১০ লক্ষ টাকা।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে বাগে আসছে না করোনা সংক্রমণ, একদিনে ফের কলকাতাকে ছাপিয়ে গেল উঃ ২৪ পরগনা]
ভোজনরসিকরা ভেবেছিলেন চলতি বছর ইলিশ মিলবে ভাল। কারণ লকডাউনের ফলে দূষণ অনেকটাই কমেছে। তবে তা সত্ত্বেও ইলিশের জোগান প্রায় নেই বললেই চলে। মিছলে না সাধের রুপোলি শস্য। বাজারে সামান্য পরিমাণ ইলিশ মিললেও তা চাহিদার তুলনায় সামান্য। তার ফলে বাড়ছে দাম। তাই ইলিশ সাধারণ মধ্যবিত্ত গৃহস্থের রান্নাঘর পর্যন্ত পৌঁছনোই দায়। পেট চেপে ইলিশের ভাল মন্দ বিচারের পরেও তা বাজারে রেখে শূন্য হাতে ফিরতে হচ্ছে ভোজনরসিকদের। অথচ তারই মাঝে ইলিশ পাচার লেগেই আছে। তবে শুধু মুর্শিদাবাদ নয়। বিভিন্ন দিক দিয়ে চোরাপথে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ ভারতে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে পাচারকারীরা। এর আগে পেট্রাপোল সীমান্তেও একটি ইলিশবোঝাই ট্রাক পাকড়াও করে বিএসএফ।
[আরও পড়ুন: নবম-দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের স্মার্ট ফোন দেওয়ার পরিকল্পনায় বাধা কেন্দ্রের বঞ্চনা, আক্ষেপ পার্থর]
The post পাচারের আগে পর্দাফাঁস, মুর্শিদাবাদে ৬০০ কেজি ইলিশ উদ্ধার করল বিএসএফ appeared first on Sangbad Pratidin.