গৌতম ব্রহ্ম: প্রয়াত বাম জমানার শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এক্স হ্যান্ডেলে শোকপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুদ্ধবাবুর পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিলেন তিনি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুতে পূর্ণদিবস সরকারি ছুটি ঘোষণা করলেন মমতা। জানালেন, তাঁকে গান স্যালুট দেওয়া হবে। বুদ্ধবাবুর বাড়িতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, 'বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুর খবরে শোকাহত। বঙ্গ রাজনীতির মহীরুহ। দৃঢ় প্রতিজ্ঞভাবে রাজ্যের সেবা করেছেন। তাঁর পরিবার ও সমর্থকের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।"
বৃহস্পতিবার সকালে নিজের বাসভবনে প্রয়াত হয়েছেন বুদ্ধবাবু। এই ঘটনায় এক্স হ্যান্ডেলে শোকপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, 'পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আকস্মিক প্রয়াণে আমি মর্মাহত। বিগত কয়েক দশক ধরেই আমি তাঁকে চিনতাম এবং গত কয়েক বছরে তিনি যখন অসুস্থ ছিলেন তখন আমি কয়েকবার তাঁকে বাড়িতে দেখতে গেছি। এই মুহূর্তে আমি খুব দু:খিত বোধ করছি।' তিনি আরও লেখেন, 'এই শোকের সময়ে মীরাদি এবং সুচেতনের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই। আমি সিপিআই(এম) দলের সকল সদস্য-সদস্যা, সমর্থক এবং তাঁর সমস্ত অনুগামীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।'
[আরও পড়ুন: ‘বিতর্কিত’ বুদ্ধ থেকে ‘ভদ্রলোক’ মুখ্যমন্ত্রী, অমলিনই রয়ে গেল সেই সাদা ধুতি]
সংবাদমাধ্যমকে টেলিফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রীয় সম্মানে বুদ্ধবাবুকে গান স্যালুট দেওয়া হবে। চাইলে দেহ রবীন্দ্রসদন বা নন্দনে রাখা হতে পারে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তাঁর দল ও পরিবারের হাতে ছাড়লেন মমতা। বুদ্ধবাবু মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় দীর্ঘদিন বিরোধী নেত্রী ছিলেন মমতা। সেই সময় একাধিকবার দুজনের সাক্ষাৎ হয়েছে। সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর মধ্যস্থতায় মুখোমুখি হয়েছিলেন দুজন। এমনকী, ৩৪ বছরের বাম শাসন শেষ করে যখন মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সেই সমস্ত দিনের স্মৃতিচারণা করলেন শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী।