সুরজিৎ দেব, ডায়মণ্ডহারবার: মর্মান্তিক! প্রেমঘটিত সম্পর্কের জেরে এক বিবাহিত মহিলাকে নিয়ে বাড়িতে নিয়ে এসেছিল ছেলে। আর সেকারণেই ছেলের গলা কেটে তাঁকে খুন করল বাবা। শুধু তাই নয়, খুনের পর নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণও করল অভিযুক্ত। আর বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নোদাখালি থানা এলাকা। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম হায়দার মল্লিক (১৯)। আর অভিযুক্ত হায়দারের বাবা সমীর মল্লিক। যিনি আবার পাড়ায় পরিচিত ‘মিন্টুদা’ নামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, হায়দার বেশ কয়েকদিন ধরেই নোদাখালি থানার অন্তর্গত চন্ডীপুরের বাসিন্দা রুকসা বিবি (২৫) এক মহিলার প্রেমে পড়েন। দু’জনের মধ্যে সম্পর্কও ধীরে ধীরে গভীর হয়ে ওঠে। কিন্তু ওই মহিলা বিবাহিত ছিলেন এবং তাঁর দেড় বছরের একটি সন্তানও রয়েছে। এদিকে, নিজের চেয়ে বয়সে বড় ওই মহিলাকে গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৮ তারিখ বাড়িতে নিয়ে চলে আসেন হায়দার। কিন্তু তাঁর বাবা সমীর মল্লিক ঘটনাটি জানতে পেরেই ভীষণ রেগে যান এবং ভেতরে ভেতরে মুষড়ে পড়েন। ওই মুহূর্তে প্রতিবেশীরা সিদ্ধান্ত নেয় ওই দুইজন আলাদা আলাদা ঘরে থাকবে অর্থাৎ নোদাখালির ওই মহিলা প্রতিবেশী একজনের বাড়িতে থাকবে এবং ওই যুবক তাঁর নিজের বাড়িতেই থাকবেন। বিষয়টি পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল থেকে উধাও করোনা টিকা! আকালের মাঝে মাথায় হাত কর্তৃপক্ষের]
কিন্তু এদিন সকালে হায়দারের সঙ্গে তাঁর বাবা এই সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলতে শুরু করে। কিন্তু সেই কথা বলতে গিয়েই বিবাদ চরমে ওঠে। তখনই পার্শ্ববর্তী একটি মাঠে ওই যুবককে নিয়ে গিয়ে বাবা ধারাল অস্ত্র দিয়ে ছেলের গলা কেটে খুন করে। এরপর নিজেই বজবজ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণও করে। সেই মুহূর্তে প্রাথমিকভাবে হকচকিয়ে গেলেও পরবর্তী সময়ে বজবজ থানার পুলিশ আধিকারিকরা হায়দারের দেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্ত সমীর মল্লিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপও করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। রুকসা বিবিকেও আটক করেছে বজবজ থানার পুলিশ।