সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: রীতি মেনেই আগামী ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। এটাই দ্বিতীয় মোদি (Narendra Modi) সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। স্বাভাবিকভাবেই এই বাজেট ঘিরে বহু প্রত্যাশা আমআদমির। গোটা বিশ্ব যখন আর্থিক মন্দার আশঙ্কায় ত্রস্ত, তখন সবদিক সামলে কতটা প্রত্যাশা অর্থমন্ত্রী পূরণ করতে পারেন, সেটাই দেখার। সংসদের সচিবালয় সূত্রের খবর, রীতি অনুযায়ীই বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে ৩১শে জানুয়ারি। শেষ হবে ৬ এপ্রিল।
প্রথামাফিক রাষ্ট্রপতির অভিভাষণ দিয়ে শুরু হবে বাজেট অধিবেশন। ওইদিনই অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ হবে। ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন। অধিবেশনের প্রথম পর্ব চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ৬ মার্চ। শেষ হবে ৬ এপ্রিল। দ্বিতীয় মোদি সরকারের এটাই শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। কারণ আগামী বছর ২০২৪-এই লোকসভা ভোট। আর নির্বাচনের আগে কেন্দ্র পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করতে পারে না। পেশ করা হয় ভোট অন অ্যাকাউন্ট।
[আরও পড়ুন: আপাতত স্থগিত অমিত শাহের বঙ্গ সফর, অনিশ্চিত মোদির সভাও]
সাধারণত, শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেটে যে কোনও সরকারই জনমোহিনী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। ভোটের ঠিক আগের বছর মোদি সরকারও মধ্যবিত্ত তথা নিম্নবিত্তের জন্য বড় কোনও ঘোষণা করতে পারে বলে মনে করছে অর্থনৈতিক মহল। গত দু’বছর আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমায় কোনও বদল করা হয়নি। ট্যাক্স স্ল্যাব (Tax Slab) বা করের হারে বদল করা হলেও সেভাবে স্বস্তি পায়নি মধ্যবিত্ত। স্বাভাবিকভাবেই ব্যক্তিগত আয়ে কর কাঠামোয় বড়সড় ছাড়ের অপেক্ষায় মধ্যবিত্ত। কৃষক এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্যও বড় ঘোষণা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে সবটাই জল্পনা।
[আরও পড়ুন: পৃথিবীর সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্রে মহিলা সেনাকর্তা, সিয়াচেনে ইতিহাস ক্যাপ্টেন শিবা চৌহানের]
যদিও কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্র বলছে করোনা এবং রাশিয়া-উইক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা সামলে এবারের বাজেটে সরকার নতুন করে বড় কোনও ঘোষণা নাও করতে পারে। কারণ, বর্তমানে যে প্রকল্পগুলি চলছে, জোড়া ধাক্কার জেরে সেই প্রকল্পগুলি চালাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে কেন্দ্রকে। শেষপর্যন্ত আর্থিক ঘাটতি মিটিয়ে কেন্দ্র বড় কোনও ঘোষণা না করে পরিকাঠামোয় জোর দিতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।