সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটা সময়ের পর গতানুগতিক যৌন মিলনেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েন অনেক দম্পতি। কিন্তু, কেউ কেউ এমনও আছেন, যাঁরা স্বামী বা প্রেমিকের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে একটু সাহসী হতে পছন্দ করেন, নানারকম অ্যাডভেঞ্চার করতে যান। আর সেটা করতে গিয়েই কখনও কখনও এমন কাজ করে ফেলেন, যার জন্য সারাজীবন আফশোস করতে হয়। ঠিক যেমনটা ঘটেছে বুলগেরিয়ার বিখ্যাত মডেল অনিতা মেইজারের ক্ষেত্রে। স্বামীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তে একটু বেশি ‘অ্যাডভেঞ্চারাস’ হতে গিয়েছিলেন তিনি। যার জেরে বেঘোরে মারা গেলেন ওই মডেলের স্বামী। ঘটনায় অনিতা মেইজারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিজের অপরাধ স্বীকার করে নিযেছেন তিনি। ওই মডেলকে তিন বছর জেলে থাকতে হবে বলে জানা গিয়েছে।
[মদ্যপ হতেই কামব্যাক পূজা ভাটের! কী জবাব অভিনেত্রীর?]
জানা গিয়েছে, যৌন মিলনকে আরও উপভোগ্য করতে তুলতে স্বামীর সারা শরীরে প্লাস্টিকের দড়ি বেঁধে দিয়েছিলেন অনিত মেইজার। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী চেয়েছিলেন, তিনি যখন পেশি ফুলিয়ে প্লাস্টিকের দড়িগুলি খুলবেন, তখন যেন গোটা পর্বটি ভিডিও করেন অনিতা। সবকিছু ঠিকঠাকই এগোচ্ছিল। কিন্তু, গলার কাছে বাঁধা পাস্টিক দড়ি খুলতে গিয়েই বিপত্তি বাঁধে। দড়ি খোলা তো দুর অস্ত, উলটে গলায় প্লাস্টিকের দড়ির ফাঁস পড়ে যায়। তাতেই শ্বাসরোধ হয়ে মারা যান অনিতা মেইজারের স্বামী।
[শুধু অন্তর্বাস পরেই হাজির সোশ্যাল মিডিয়ায়, বিতর্কে অভিনেত্রী]
প্রথমে অবশ্য এই ঘটনার কথা স্বীকারই করতে চাননি মডেল অনিতা মেইজার। বরং পুলিশে্র কাছে অনিতা দাবি করেন, তিনি বাজারে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন, ঘরের মধ্যে স্বামী মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। এমনকী প্রমাণ লোপাটেরই চেষ্টা করা হয় বলে জানা গিয়েছে। বস্তুত, অনিতা মেইজারের ব্যাগ থেকে বেশ কিছু ডলার ও পাসপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের দাবি, এর থেকেই স্পষ্ট ঘটনার পর বিদেশে পালানোর ছক কষেছিলেন অনিতা মেইজার।
[অজয়ের ‘বাদশাহো’র টিজারে ঘনিষ্ঠতায় পারদ চড়ালেন ইমরান-সানি]
কিন্তু প্রথম থেকেই অনিতাকে সন্দেহ করছিল পুলিশ। শেষপর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। এরপরই পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়েন অনিতা। নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেন তিনি।
The post সঙ্গমকালে বেশি অ্যাডভেঞ্চারাস হতে গিয়ে এই কাণ্ডটাই করলেন যুবতী appeared first on Sangbad Pratidin.