সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: স্বাধীনতা দিবসের পরদিনই ভূস্বর্গে (Jammu and Kashmir) ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে জওয়ানদের (Jawan) বাস। পহেলগাঁওয়ে গভীর খাদে পড়ে যায় বাসটি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৭ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আহত বহু। দুর্ঘটনার কবলে পড়া বাসটিকে নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, বাসটির ফিটনেস সার্টিফিকেটটির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। কর দেওয়া ছিল ৩১ মার্চ ২০২১ সাল পর্যন্ত। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কী করে যথাযথ নথি না থাকা সত্ত্বেও সেই বাসটিতেই জওয়ানদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল?
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? বাসটির প্রাপ্ত নথি থেকে দেখা যাচ্ছে, ২০০৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বাসটির রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল। ডিজিপির নামে নথিভুক্ত বাসটির কর দেওয়া আছে ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবর্ষের কর এখনও দেওয়া নেই। সেই সঙ্গেই জানা যাচ্ছে, ফিটনেস সার্টিফিকেটের মেয়াদও শেষ হয়ে গিয়েছে। বাসটির বিমা কিংবা দূষণ পরীক্ষার সার্টিফিকেট সম্পর্কে অবশ্য কিছু জানা যায়নি এখনও। তবে প্রাপ্ত তথ্য থেকে প্রশ্ন উঠছে, কী করে এমন একটি বাসে জওয়ানদের নিয়ে যাওয়া হল?
[আরও পড়ুন: মহাকরণে বড়সড় অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে ছাই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথি]
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বাসটি পহেলগাঁওয়ের কাছে এসে ব্রেক ফেল করে। এরপর সেটি চন্দনওয়ারির জিগ মোর ফ্রিসলানে রাস্তা থেকে ছিটকে পাশের পাহাড়ি নদীতে পড়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। বাসে ছিলেন ৩৭ জন ইন্দো-তিব্বত পুলিশের জওয়ান ও ২ জন পুলিশকর্মী। এদের মধ্যে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৬ জওয়ানের।
দুর্ঘটনায় মোট ৩০ জন জওয়ান আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। আহতদের হেলিকপ্টারে শ্রীনগরে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শ্রীনগরের সেনা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাঁদের।