নব্যেন্দু হাজরা: কোভিড সংক্রমণে ধাক্কা খেয়েছে পরিবহণ ব্যবসা। কমেছে যাত্রী। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো চেপে বসেছে জ্বালানির দাম। জোড়া খাঁড়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে গণপরিবহণ কর্মীদের। তবু ভাড়া বৃদ্ধির পথে হাঁটতে চাইছেন না তাঁরা। বদলে জ্বালানিকে জিএসটির (GST) অন্তর্গত করার দাবিতে সরব হয়েছেন গণপরিবহণ কর্মীদের একাংশ। এই দাবিতে চলতি মাসের ১৭ তারিখ গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসার পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা। তাঁদের এই আন্দোলনে সমর্থন চেয়ে রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিল পশ্চিমবঙ্গ বাস এবং মিনিবাস মালিক সংগঠন।
করোনা টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে গণপরিবহণ কর্মীদের অগ্রাদিকার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই সিদ্ধান্তের জন্য এদিন পাঠানো চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ওই সংগঠন। বাস ও মিনিবাস মালিকদের দাবি, কৃষিক্ষেত্রের পর পরিবহণ ক্ষেত্রেই অসংগঠিত কর্মীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। কোভিডের দ্বিতীয় ধাক্কায় টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ক্ষতির মুখে পড়েছে গণপরিবহণ ব্যবস্থাও। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাস, মিনিবাসের ভাড়া বৃদ্ধি কোনও কার্যকরী উপায় নয় বলে দাবি করেছে ওই সংগঠন।
[আরও পড়ুন: করোনা রোগীদের অবসাদ কাটাতে গিটার হাতে চিকিৎসকরা, গান গাইলেন সুপার]
কারণ, ইতিমধ্যে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। তাঁরাই একসময় বাস, মিনিবাসের নিত্যযাত্রী ছিলেন। তাই ভাড়া বাড়িয়ে কোনও লাভ হবে না বলেই দাবি সংগঠনের। বদলে জ্বালানিকে জিএসটির অন্তর্ভুক্ত করতে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে চাইছে বাস মালিকদের সংগঠন। এই ইস্যুতে আন্দোলন শুরুর আগে মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থন চেয়ে চিঠি দিল তাঁরা।
বাস মালিকদের দাবি, জ্বালানি জিএসটির অন্তর্গত হলে দাম অনেক কমবে। ফলে খরচও কমবে বাস মালিকদের। যার লাভ পাবেন কর্মী এবং নিত্যযাত্রীরা। এখন মুখ্যমন্ত্রী বাস মালিক সংগঠনের আন্দোলনে শামিল হন কি না সেটাই দেখার।