স্টাফ রিপোর্টার: ধর্মতলায় (Dharmatala) বাস দাঁড় করিয়ে রাখা যাবে না। যাত্রী ওঠা-নামার জন্য ব্যবহার করে সেখান থেকে বাস নিয়ে বেরিয়ে যেতে হবে। আর যে দূরপাল্লার বাসগুলো এখন ধর্মতলায় দাঁড়ায়, সেগুলোকে অন্যত্র স্ট্যান্ড করতে হবে। তবে সেগুলোও যাত্রী ওঠানো-নামানোর জন্য ধর্মতলা দিয়ে ঘুরে যেতে পারবে। সোমবার বেসরকারি বাসমালিকদের সেকথা জানিয়ে দিলেন পরিবহণ দপ্তরের কর্তারা। পাশাপাশি দূরপাল্লার বাস তাঁরা কোথায় রাখতে চান তা চিঠি দিয়ে বাসমালিকদের জানাতে বলা হয়েছে।
হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে এসপ্ল্যানেড (Esplanade) এলাকা থেকে বাস টার্মিনাস সরানোর কথা বলা হয়েছে। তাই সেখান থেকে বাস টার্মিনাস (Bus Terminus) সরিয়ে কেবলমাত্র যাত্রী ওঠানামার জন্য ব্যবহার করার ভাবনায় পরিবহণ দফতর। জুলাই মাসে এ নিয়ে নবান্নে রাজ্যের মুখ্যসচিবের উপস্থিতিতে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে কলকাতা পুলিশ, নগরোন্নয়ন দপ্তর, কলকাতার পুর কমিশনার, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, বিদ্যুৎ দপ্তর, পূর্ত দপ্তর, সেনা, কলকাতা মেট্রো, রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড, কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন এবং সমীক্ষা সংস্থা রাইটস-এর শীর্ষকর্তারা হাজির ছিলেন।
[আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িতে ধাক্কা ট্রেলারের, দুই মহিলা-সহ মৃত তিন]
বৈঠকে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে একটি কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত হয়। ওই কমিটির মাধ্যমে সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত আদালতের নির্দেশ কার্যকর করা হবে বলে নবান্ন সূত্রের খবর ছিল। ধর্মতলা তথা এসপ্ল্যানেড চত্বরের একটি বড় অংশ জুড়ে ওই বাস স্ট্যান্ড থাকার কারণে শহরে যানজট এবং দূষণ অনেকাংশে বাড়ছে বলে অভিযোগ। তাই সেখান থেকে ওই বাস স্ট্যান্ড সরিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করার জন্য আদালতে আবেদন করেছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। বর্তমানে ওই মামলা বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে বিচারাধীন।
এদিনের বৈঠক প্রসঙ্গে সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসেসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, ‘‘বিকল্প পথের সন্ধান রাজ্য সরকারকেই করতে হবে। আলোচনা হয়েছে। দেখা যাক সরকার কী বলে!’’ বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এসপ্ল্যানেড টার্মিনাস সরিয়ে বিকল্প কী পরিকল্পনা সরকার নিচ্ছে তা পরিষ্কার নয়। ড্রাইভার চার-পাঁচ ঘণ্টা বাস চালানোর পর তাঁদের বাথরুমে যাওয়া, বিশ্রাম করার প্রয়োজন, সেগুলোও বিবেচনার মধ্যে রাখা দরকার।”