shono
Advertisement
Mamata Banerjee

'নগদকাণ্ডে বিচারপতিকে বদলি, চাকরিপ্রার্থীদের ট্রান্সফার নয় কেন?', প্রশ্ন তুললেন ক্ষুব্ধ মমতা

আর কী বললেন মমতা?
Published By: Tiyasha SarkarPosted: 04:34 PM Apr 03, 2025Updated: 06:18 PM Apr 03, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিচারপতির বাড়িতে কাড়ি কাড়ি টাকা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে হইচই শুরু হয় সর্বত্র। শাস্তি হিসেবে দিল্লি থেকে এলাহাবাদ কোর্টে সরানো হয় বিচারপতি যশবন্ত বর্মাকে। নগদ টাকা উদ্ধারের পর বিচারপতিকে যদি সরানো হয়, তাহলে এই ২৬ শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের কেন শাস্তি হিসেবে বদলি করা হল না? কেন চাকরি বাতিলের নির্দেশ (SSC Recruitment Case Verdict)? বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে সেই প্রশ্ন তুলেই একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বললেন, "যা হল তা ঠিক হল না।"

Advertisement

দোলের ছুটি চলাকালীন আগুন লাগে দিল্লি হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাড়িতে। তখনই তাঁর বাড়িতে বিপুল পরিমাণ নগদ পান দমকল কর্মীরা। এরপর বিচারপতির বাড়ির কাছে রাস্তা থেকেও পাঁচশো টাকার পোড়া নোট উদ্ধার হয়। ওই অর্থের উৎস জানা যায়নি। এই ঘটনায় হইচই শুরু হওয়ার পর বিচারপতি বর্মাকে দিল্লি হাই কোর্ট থেকে এলাহাবাদ হাই কোর্টে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়। কেন্দ্রের অনুমোদন মিলতেই সরানো হয় বিচারপতি বর্মাকে। এদিন ২৬ হাজার চাকরি বাতিল ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে সেই টাকা উদ্ধারের প্রসঙ্গ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মমতা বলেন, "নগদ টাকা উদ্ধারের পর বিচারপতিকে যদি সরানো হল। তাহলে এই ২৬ শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের কেন শাস্তি হিসেবে বদলি করা হল না? সুপ্রিম কোর্ট তো চাইলে সবাইকে অন্যত্র বদলি করে দিতে পারত।" তবে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, চাকরিহারাদের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। বললেন, পাশে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, যোগ্যরা বঞ্চিত, অযোগ্যরা এসএসসিতে চাকরি পেয়েছেন। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে কয়েকবছর আগেই উত্তাল হয় বাংলা। পথে নামেন চাকরিপ্রার্থীরা। জল গড়ায় আদালতে। কলকাতা হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি শুরু করেন। ২০২১ সালে ২১ নভেম্বর গ্রুপ ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের প্য়ানেল তদন্তের আওতায় চলে আসে। তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বারবার চাকরি বাতিলের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। ৭ হাজার চাকরি বাতিলের প্রসঙ্গও ওঠে। কিন্তু পরবর্তীতে বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট ২৫, ৭৫২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • বিচারপতির বাড়িতে কাড়ি কাড়ি টাকা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি উত্তাল হয়ে ওঠে দিল্লি।
  • শাস্তিস্বরূপ দিল্লি থেকে এলাহাবাদ কোর্টে সরানো হয় বিচারপতি যশবন্ত বর্মাকে।
  • নগদ টাকা উদ্ধারের পর বিচারপতিকে যদি সরানো হয়, তাহলে এই ২৬ শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের কেন শাস্তি হিসেবে বদলি করা হল না? কেন চাকরি বাতিলের নির্দেশ? বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে সেই প্রশ্ন তুলেই একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, "যা হল তা ঠিক হল না।"
Advertisement