সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক’দিন বাদেই হায়দরাবাদে (Hyderabad) বিজেপির (BJP) জাতীয় কর্মসমতির বৈঠক। ইতিমধ্যে সেখানে পৌঁছাতে শুরু করেছেন সারা দেশের গেরুয়া শিবিরের নেতারা। উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ (Narendra Modi) শীর্ষ নেতৃত্ব। তার আগে সেকেন্দ্রাবাদে দেখা গেল মোদি বিরোধী বিরাট হোর্ডিং। প্রধানমন্ত্রীর ছবির সঙ্গে বড় করে লেখা ‘#বাইবাইমোদি’। এমনকী লেখা হয়েছে, ‘মানুষ মারবেন না মোদি’। ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে শহর প্রশাসন। দ্রুত বিতর্কিত হোর্ডিং সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
আগামী ২ ও ৩ জুলাই হায়দরাবাদ ইন্টারন্যাশানাল কনভেনশন সেন্টারে (yderabad International Convention Centre) রয়েছে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। দলীয় বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব। তার আগে সেকেন্দ্রাবাদের মোদি বিরোধী হোর্ডিং ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে নিজামের দেশে। বিরাট হোর্ডিংটি লাগানো হয় প্যারেড গ্রাউন্ড চত্বরে তিভোলি সিনেমার কাছে। গোটা হোর্ডিংয়ে মোদিকে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করা হয়েছে। বড় করে লেখা হয়েছে ‘#বাইবাইমোদি’। মোদিকে স্বাগত জানানোর বদলে তাঁকে শহর ছাড়তে বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘উদ্ধবের ইস্তফায় খুশি নই’, সঞ্জয় রাউতকে বিঁধে বার্তা শিব সেনার বিক্ষুব্ধদের]
এইসঙ্গে নানা আপত্তিকর কথা ও প্রসঙ্গ তোলা হয়েছে হোর্ডিংটিতে। যেমন, ‘মানুষ মারবেন না মোদি’, ‘যথেষ্ট হয়েছে মোদি’। এছাড়াও অগ্নিপথ প্রকল্প, কৃষি আইন, নোট বাতিল, কোভিডকালের ব্যর্থতার প্রসঙ্গ তুলে তীব্র কটাক্ষ করা হয়েছে নরন্দ্র মোদিকে। জানা গিয়েছে, গত ২৮ জুন স্থানীয়দের চোখে পড়ে হোর্ডিংটি। খবর পেতেই পরদিন তড়িঘড়ি সেটিকে খুলে ফেলে পুরনিগম। কারা এমন হোর্ডিং লাগাল, পুরনিগম কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তারা কোনওরকম জবাব দিতে চায়নি।
[আরও পড়ুন: এবার বিধায়ক কেনাবেচাতেও দিতে হবে GST! মুখ ফসকে এ কী বললেন নির্মলা? কটাক্ষ তৃণমূলের]
উল্লেখ্য, মোদি বিরোধিতায় এর আগেও হোর্ডিং, পোস্টার-প্ল্যাকার্ড, বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মোদি হায়দরাবাদে এসেছিলেন স্ট্যাচু অব ইকুয়ালিটি উদ্বোধনে। ওইদিন একদল যুবক হুসেন সাগরে রাজ্য ও দেশের বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে মোদি বিরোধী বিক্ষোভ দেখায়। গত ২৬ মে ইন্ডিয়ান স্কুল অফ বিজনেসের কুড়ি বছরের অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওইদিন তেলেঙ্গানার শাসক দল টিআরএসের সমর্থকরা রাজ্যের একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে কাজ না হওয়া নিয়ে মোদি বিরোধী বিক্ষোভ দেখান।