shono
Advertisement

শীঘ্রই কাটছে জট? রাজ্যে ৭ বিধানসভা, দু’টি রাজ্যসভা আসনে উপনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু EC’র

রাজ্যসভার উপনির্বাচন নিয়ে দিল্লি নির্বাচন কমিশনকে কী জানাল প্রশাসন?
Posted: 07:29 PM Jul 02, 2021Updated: 10:08 PM Jul 02, 2021

কিংশুক প্রামাণিক: প্রতিদিন রাজ্যের করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। সাবধানতা অবলম্বন করে, কঠোর কোভিডবিধির মধ্যে ছন্দে ফিরছে জনজীবন। ফলে এই মুহূর্তে রাজ্যে উপনির্বাচন করার পরিবেশ ফিরে এসেছে। বাংলায় রাজ্যসভার উপনির্বাচন করা যাবে কি না, তা নিয়ে দিল্লি নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) প্রশ্নের জবাবে এমনই জানাল রাজ্য প্রশাসন। এমনই খবর সূত্রের। পাশাপাশি, এও জানানো হয়েছে যে বাংলায় যে ৭ টি আসনের উপনির্বাচন বাকি রয়েছে, তাও হতে পারে এই মুহূর্তে। রাজ্যসভা ও বিধানসভার উপনির্বাচন নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে প্রশাসনের এই জবাবে মনে করা হচ্ছে, শিগগিরই উপনির্বাচনের জট কাটছে।

Advertisement

একুশের নির্বাচনের পর বেশ কয়েকটি আসনে একাধিক কারণে ফাঁকা বিধায়ক পদ। সেসব আসনে উপনির্বাচন প্রয়োজন। এর মধ্যে অবশ্য মুর্শিদাবাদ ও সামসেরগঞ্জে নির্বাচন আগে হয়নি। ফলে এই দুই আসনে ভোট হবে প্রথম। নিয়ম অনুযায়ী, নন্দীগ্রাম আসন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যাওয়ায় তাঁকে অন্য কোনও আসন থেকে জিতে আসতে হবে। আর তাঁর জন্য ভবানীপুর কেন্দ্রের বিধায়ক পদ ছেড়ে দিয়েছেন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। ভোটের ফলপ্রকাশের আগে কোভিডে মৃত্যু হয়েছে খড়দহে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার। এছাড়া দিনহাটা ও শান্তিপুর আসনে থেকে জয়ের পরও সাংসদ পদ ছেড়ে বিধায়ক পদে শপথ নেননি বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক, জগন্নাথ সরকার। সবমিলিয়ে মোট ৭ টি আসনে পুননির্বাচন হবে। এছাড়া রাজ্যসভার দুই আসনেও ফের ভোট করাতে হবে। দুই সাংসদ – মানস ভুঁইঞা এবং দীনেশ ত্রিবেদীর আসন ফাঁকা। প্রথমজন বিধানসভা ভোটে লড়াই করে এখন রাজ্যের মন্ত্রী। রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। অপরজন, দীনেশ ত্রিবেদী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তাঁর আসনটি শূন্য। এই সবকটি আসনে দ্রুত উপনির্বাচন করাতে চেয়ে দিল্লি নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে।

[আরও পড়ুন: শুভেন্দুর সঙ্গে গোপন বৈঠক খারিজের চেষ্টা করছেন তুষার মেহতা, তোপ অভিষেকের]

দিল্লি নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছিল, এই মুহূর্তে রাজ্যসভার দুটি আসনে উপনির্বাচন করার পরিবেশ আছে কি না। সূত্রের খবর, তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, এখন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। ভোটের সময় রাজ্যে করোনা পজিটিভিটি ছিল ৩৩ শতাংশ, এখন তা মাত্র ৩ শতাংশ। তাই রাজ্যসভার দুটি আসন ছাড়াও বিধানসভার ৭ আসনে উপনির্বাচনের পরিবেশও রয়েছে। রাজ্যের এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের ধারণা, দ্রুতই রাজ্যে উপনির্বাচনের জট খুলতে চলেছে।

[আরও পড়ুন: বিধানসভায় আসন বদল হচ্ছে মুকুল রায়ের, বসবেন বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গেই]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement