সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: CAA-NRC নিয়ে ভারতের মুসলিম (Muslim) সম্প্রদায়ের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। অসমের (Assam) গুয়াহাটিতে এক অনুষ্ঠানে এমন আশ্বাসই দিলেন RSS প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। কয়েকদিন আগে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতীয় মুসলমানরা বিপদে আছেন এমন একটা বক্তব্যের ফাঁদ তৈরি করা হচ্ছে। মুসলিমরা যেন তাতে পা না দেন। এবার ফের মুসলমানদের আশ্বস্ত করতে দেখা গেল তাঁকে।
ঠিক কী বলেছেন মোহন ভাগবত? তাঁর কথায়, ‘‘সিএএ-এনআরসি (CAA-NRC) কোনও ভারতীয় নাগরিকেরই বিরুদ্ধে তৈরি করা আইন নয়। ভারতের মুসলিম নাগরিকরা সিএএ থেকে কোনও ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে এই দুই বিষয়কে হিন্দু-মুসলিমের বিষয় করে তোলা হয়েছে। এটা আদৌ হিন্দু-মুসলিমের ব্যাপারই নয়।’’ তিনি এনআরসি প্রসঙ্গে বলেন, এটি দেশের নাগরিকদের চিহ্নিত করার জন্য একটি প্রক্রিয়া। কোনও ধর্মেরই বিরুদ্ধে তা নয়।
[আরও পড়ুন: মোদির গুজরাটেও ‘শহিদ দিবস’ পালনে বাধা TMC-কে! সরানো হল Mamata’র ব্যানার]
‘সিটিজেনশিপ ডিবেট ওভার এনআরসি অ্যান্ড সিএএ অসম অ্যান্ড দ্য পলিটিক্স অফ হিস্ট্রি’ নামের এক বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসেছিলেন মোহন ভাগবত। মঞ্চে ছিলেন অসমের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও। সেখানেই বর্ষীয়ান আরএসএস নেতা বলেন, দেশভাগের পর থেকেই দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল দেশ। সেই প্রসঙ্গ তুলেই পাকিস্তানকে বেঁধেন তিনি। বলেন, ‘‘আমরা সেটা আজও মেনে চলি। কিন্তু পাকিস্তান মানেনি। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করার সময় সকলেই সপ্ন দেখেছিল স্বাধীন দেশের। দেশভাগের সময় দেশের মানুষদের অনুমতি নেওয়া হয়নি। সকলের মতামত নিলে সেই সময় দেশভাগ হতই না। কিন্তু তবুও নেতারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আর দেশের মানুষ মেনে নিয়েছিলেন। দেশের বহু মানুষকে ঘর ছাড়তে হয়েছিল। তাঁরা আজও ঘরছাড়া। তাঁদের দোষ কী ছিল? তাঁদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক কর্তব্য।’’
এরপর সকলকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘‘কোনও ধর্ম কিংবা ভাষা নিয়ে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু যখনই কেউ বিভেদ তৈরি করতে চায় তখনই সমস্যা শুরু হয়।’’ সেই সঙ্গে তাঁর সাফ কথা, ‘‘অন্যদের থেকে আমরা গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র শিখব না। এটা আমাদের পরম্পরা ও রক্তের মধ্যেই মিশে রয়েছে।’’