সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: CAA’র প্রতিবাদে বিজেপি ছাড়লেন মধ্যপ্রদেশের ৮০জন মুসলিম নেতা-কর্মী। তাঁদের অভিযোগ, সংশোধিত নাগরিক আইন আদপে ধর্মের ভিত্তিতে দেশে বিভাজন করছে, মুসলিমদের কোনঠাসা করছে। তাই এই আইনের প্রতিবাদে ওই বিজেপি নেতারা দল ছাড়লেন বলে সূত্রের খবর।
গত বছর ১২ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হয়। আইন অনুযায়ী, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত অমুসলিম অর্থাৎ হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, পারসি, ও খ্রিস্টানদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু নাগরিকত্ব প্রদানের সঙ্গে ধর্মকে যুক্ত করাতেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “এই আইন মুসলিম বিরোধী নয়। তাই দুশ্চিন্তার কোনও প্রয়োজন নেই।” তবে সেই আশ্বাসেও কাজ হয়নি। কলকাতার পার্ক সার্কাস থেকে দিল্লি শাহিনবাগ, সর্বত্রই চলছে বিরোধিতা।
[আরও পড়ুন : নির্ভয়া কাণ্ডের চার দোষীর বাড়িতে গেল ফাঁসির চিঠি]
জানা গিয়েছে, পদত্যাগীদের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের একাধিক পদাধিকারীও আছেন। বিজেপির নবনির্বাচিত সভাপতি জে পি নাড্ডাকে চিঠিও দিয়েছেন তাঁরা। পদত্যাগীদের একজন রাজিক কুরেশি ফার্সিওয়ালার অভিযোগ, CAA আদপে ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি হওয়া বিভেদমূলক বিধি। তাঁর কথায়, “২০১৯-এর ডিসেম্বর সিএএ কার্যকর হওয়ার পর নিজেদের সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানে থাকা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে আমাদের পক্ষে। এধরনের অনুষ্ঠানে গেলে লোকে আমাদের গালিগালাজ করছে। প্রশ্ন করছে, সিএএ-র মতো একটি বিভেদমূলক আইন আবার পরও আর কতদিন আমরা চুপ থাকব?”
[আরও পড়ুন : দেশের সেরা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, জানাচ্ছে সর্বভারতীয় সমীক্ষা]
পদত্যাগী নেতাদের কথায়, ধর্ম, সম্প্রদায় নির্বিশেষে ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়া উচিত। জানা গিয়েছে, নাড্ডাকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, “ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নং ধারায় নাগরিকদের সমান মর্যাদার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বিজেপি সরকার ধর্মীয় মাপকাঠিতে CAA কার্যকর করছে। এটা দেশে মধ্যে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন ঘটাচ্ছে। এই আইন সংবিধানের পরিপন্থী।” এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিজয়বর্গীয় বলেন, “পুরো বিষয়টা জানি না। তবে কেউ বিভ্রান্ত হলে তাঁকে ব্যাখ্যা করে বোঝাব।”
The post CAA’র প্রতিবাদ, মধ্যপ্রদেশে বিজেপি ছাড়লেন ৮০জন মুসলিম নেতা appeared first on Sangbad Pratidin.