স্টাফ রিপোর্টার: কলকাতা লিগকে (Calcutta Football League) আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে এবার ‘এআরটি’ প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে আইএফএ (IFA)। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আপাতত গোল লাইন টেকনলজি দেখা হলেও এই প্রযুক্তি সফল হলে এর মাধ্যমে অফসাইড, হ্যান্ডবল সহ অন্যান্য বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করা হবে, জানানো হয়েছে আইএফএ-র পক্ষ থেকে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা এই এআরটি প্রযুক্তি তৈরি করেছেন। বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রযুক্তির সম্পর্কে বলতে গিয়ে আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেন, “আমরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি মৌ সাক্ষর করেছি। ওরা ফুটবল উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তি তৈরির প্রয়াস নেবে। এই এআরটি প্রযুক্তি হচ্ছে সেই প্রয়াসেরই প্রথম ধাপ। আপাতত গোললাইন টেকনলজি হিসাবে ম্যাচে গোল হয়েছে কিনা নির্ধারণ করতে রেফারিকে সাহায্য করবে এই প্রযুক্তি। পরবর্তী কালে সফলভাবে পরীক্ষামূলকভাবে পাশ করলে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে অফসাইড, পেনাল্টি সহ অন্য সন্দেহজনক বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করা হবে। ” পুরোটাই দেশীয় প্রযুক্তিতে ভারের বিকল্প হিসাবে তৈরি করা হচ্ছে এই প্রযুক্তি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, শুধু এআরটি প্রযুক্তি নয়, তারা ম্যাচ বিশ্লেষণ সফটওয়ারও তৈরি করতে চলেছে। কি এই এআরটি প্রযুক্তি?
[আরও পড়ুন: ধ্বংসের পথে পাক ক্রিকেট! বাংলাদেশের কাছে হারতেই ইমরান খানের নিশানায় পিসিবি কর্তারা]
পুরো নাম ‘অ্যাডভানসড রিভিউ টেকনোলজি।’ গোল পোস্টের কাছাকাছি দুটো করে মোট চারটে ওয়ারলেস ক্যামেরা লাগানো থাকবে। সেই ক্যামেরা রেকর্ডিং করবে বক্সের ভিতরের কার্যকলাপ। যদি কোন গোল সম্পর্কে রেফারির সন্দেহ থাকে তাহলে সেই ক্যামেরায় ধরা পড়া ভিডিও বিশ্লেষণ করে গোল হয়েছে কিনা তা জানতে পারবেন তিনি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত বলেন, “আইএফএ আমাদের প্রস্তাব দেওয়ায় আমরা এগিয়ে এসেছিলাম। এখানেই থেমে থাকব না। আরও অনেক কিছু করছি। খেলাধূলার উন্নয়নের লক্ষ্য আমরা সবসময় কাজ করতে চাই।”
[আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অনন্য কীর্তির পুরস্কার, রোনাল্ডোকে বিশেষ সম্মান দেবে উয়েফা]
আইএফএ সচিবের দাবি, এখনও পর্যন্ত আড়াই হাজার গোলের উপর পরীক্ষা করা হয়েছে এই এআরটি প্রযুক্তি। পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমধাপ পাশ করার পর এবার দ্বিতীয় ধাপ পরীক্ষায় নামতে চলেছে এআরটি। ঘরোয়া লিগে সুপার সিক্সের ম্যাচগুলোতে পাশ করে গেলে ভারতীয় ফুটবলে দিগন্ত খুলে যাবে বলে আশা করছেন আইএফএ সচিব। তিনি যোগ করেন, “অনেক কম খরচে যাদবপুরের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের তৈরি এই প্রযুক্তি দিগন্ত খুলে দিতে চলেছে।”