সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) মুখে বড়সড় স্বস্তি চিকিৎসকদের। সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকরা পদত্যাগ করে ভোটে লড়তে কোনও বাধা নেই। অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। এ নিয়ে নির্দেশ দিতে গিয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, চিকিৎসক এমনিতে জনতার সেবক। কিন্তু তিনি যখন ভোটে লড়তে চান, তখন বুঝতে হবে যে তিনি বৃহত্তর স্বার্থে জনতার কাজ করতে চান। আসলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সার্ভিস রুলস অনুযায়ী (West Bengal Service Rules), চিকিৎসক, পুলিশ, দমকল বিভাগের মতো জরুরি পরিষেবার আওতায় থাকা কর্মীরা ভোটে লড়তে চাইলে বেশ কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু আদালতের পর্যবেক্ষণ, চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়াই যায়।
এই সংক্রান্ত মামলাটি দায়ের করেছিলেন ঝাড়গ্রাম (Jhargram) সরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি কাজ থেকে ইস্তফা দিতে চাইলেও বন্ড সংক্রান্ত নিয়ম দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ তাঁর পদত্যাগপত্রের কোনও জবাব দেয়নি বলে অভিযোগ। আর ইস্তফাপত্র গৃহীত না হলে তিনি নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতেও পারবেন না। এই জটিলতা কাটাতে সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতেই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ, গণ পরিষেবার সঙ্গে জড়িত কোনও ব্যক্তি যদি নির্বাচনে লড়তে চান, তাহলে বুঝতে হবে, তিনি বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করতে চান। সেক্ষেত্রে চাকরি ছেড়ে তাঁকে নির্বাচনে লড়তে দিতে কোনও বাধা থাকার কথা নয়।
[আরও পড়ুন: ফের বেলাগাম দিলীপ, এবার নির্বাচন কমিশনকে ‘মেসোমশাই’ সম্বোধন বিজেপি প্রার্থীর!]
উল্লেখ্য, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাটের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী নিজে একজন চিকিৎসক। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়ে এই কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হলেও, সরকারি হাসপাতালে ইস্তফাপত্র (Resignation Letter) গৃহীত না হওয়ায় মুকুটমণি নির্বাচনে লড়তে পারেননি। এবার তিনি চিকিৎসক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তবেই প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূলের তরফে। এখন কলকাতা হাই কোর্টের এই নির্দেশ জটিলতা সংক্রান্ত সমস্যা কাটাতে সাহায্য করল বলেই মনে করা হচ্ছে।