গোবিন্দ রায়: ১১ বছরের নাবালিকার গর্ভপাতের সায় দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট পাওয়ার পরই ২৬ সপ্তাহের অন্ত্বঃসত্তাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল আদালত। নাবালিকার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনা করেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে হাই কোর্ট সূত্রে খবর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকায় এসএসকেএম হাসপাতালে গর্ভপাত করানোর নির্দেশ বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য।
অভিযোগ, পাড়ায় খেলতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় বছর এগারোর নাবালিকা। যা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি নাবালিকার বাবা-মা। যখন তাঁরা জানতে পারেন ততদিনে ২৩ সপ্তাহ ৬ দিনের (২২ জুলাই) অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে মেয়ে। আইন অনুযায়ী, ২০ সপ্তাহ সময় পর্যন্ত গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন চিকিৎসকরা। পরবর্তীতে গর্ভাপাত করতে আদালতের অনুমতির প্রয়োজন। তাই বাধ্য হয়েই কোলাঘাটের বাসিন্দা ওই দম্পতিকে নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা কন্যার গর্ভপাতের অনুমতি নিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতে হয়। মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট মেনে অবশেষে অনুমতি দিল আদালত।
[আরও পড়ুন: যাদবপুরে মাওবাদীদের আধিপত্য! UAPA ধারা জারি, NIA তদন্তের আবেদন শুভেন্দুর]
এদিন রিপোর্ট দিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, গর্ভপাত করানো যাবে কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। সেক্ষেত্রে কোনও বড় হাসপাতালে যেখানে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রয়েছে, সেখানে এই গর্ভপাত করানোর যেতে পারে বলে জানান তিনি। আদালত জানিয়েছে, অবিলম্বে ওই নাবালিকাকে কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হবে। এসএসকে হাসপাতালকে বিচারপতির নির্দেশ, একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে ওই নাবালিকার গর্ভপাত করাতে হবে।