রাহুল রায়: আরও জটে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা পদে চাকরিপ্রার্থীদের (SLST) নিয়োগ প্রক্রিয়া। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, যাঁরা সুপারিশপত্র পেয়েছেন, তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া যাবে না। এই মর্মে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
২০১৬ সালে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য নেওয়া পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগের তোড়জোড় করে কমিশন। অতিরিক্ত ৭৫০ শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগের প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু এক চাকরিপ্রার্থীর মামলার ভিত্তিতে চলতি সপ্তাহেই স্থগিতাদেশ (Stay Order) দিয়েছিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। দু’দিনের জন্য সেই স্থগিতাদেশ ছিল। শুক্রবার সেই মামলা ফের আদালতে উঠলে বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পিছু হঠে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। বাতিল হওয়া প্রার্থীদের নিয়োগ করা হোক অতিরিক্ত শূন্যপদে, এই আবেদন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
[আরও পড়ুন: পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় প্রেমিকার স্বামীকে এলোপাথাড়ি কোপ যুবকের! তুমুল চাঞ্চল্য বারাকপুরে]
এ বিষয়ে কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে লিখিত নির্দেশিকা এসেছে বলে আদালতে জানালেন কমিশনের আইনজীবী। সম্প্রতি আদালতে দাখিল করা নতুন চারটি হলফনামায় কমিশনের আবেদন ছিল যে রাজ্যের তৈরি করা শূন্যপদে যেন চাকরি বাতিল হওয়া ব্যক্তিদের নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিশনের এই অবস্থানের উলটোপথে হেঁটে রাজ্য জানায়, তারা এই অবস্থানের বিপক্ষে, অযোগ্যদের নিয়োগের পক্ষে তারা নয়। এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ নভেম্বর।
[আরও পড়ুন: ‘মৌলবাদের সমর্থকদের কোনও দেশে কোনও স্থান নেই’, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গর্জন মোদির]
আদালতে সওয়াল-জবাবের সময় কমিশন জানায়, কর্মশিক্ষায় ৫৮৫ শূন্যপদের মধ্যে ৫১৪ জনকে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে এবং শারীরশিক্ষায় ৮২৪ শূন্যপদের মধ্যে সুপারিশপত্র পেয়েছেন ৭৬৬ জন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, আপনারা কি নিয়োগ পত্র দিয়েছেন? পর্ষদের আইনজীবীর উত্তর, ”না, আপনি মৌখিক নির্দেশে নিয়োগপত্র দিতে বারণ করেছিলেন, তাই পর্ষদ কোন নিয়োগপত্র দেয়নি।” অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় সওয়াল করেন, প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি তৈরি হলে রাজ্য অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করতে পারে। এতে রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, ”আপনাদের যা ইচ্ছা করুন, আমি শুধু ছাত্রদের শিক্ষা নিয়ে চিন্তিত।” শূন্যপদ নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ রাজ্যকে। আগামী ২৮ শে নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ। ৩০ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি।