গোবিন্দ রায়: কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগে বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ। আগামী ৩০ ডিসেম্বর বা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশের মেয়াদ থাকবে, জানালেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এদিকে গ্রামে স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিতে অনিহা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেন বিচারপতি।
সম্প্রতি ২০১৬ সালের কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার প্রার্থীদের পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগের তোড়জোড় করে কমিশন। অতিরিক্ত ৭৫০ শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগের প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু এক চাকরিপ্রার্থীর মামলার ভিত্তিতে সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ (Stay Order) দিয়েছিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। পরবর্কীতে সেই মামলা ফের আদালতে উঠলে বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পিছু হঠে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। বাতিল হওয়া প্রার্থীদের নিয়োগ করা হোক অতিরিক্ত শূন্যপদে, এই আবেদন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ ছিল নিয়োগ।
[আরও পড়ুন: সরকারি কাজ হয়নি কেন? উত্তরের বদলে গোলাপ-মিষ্টি নিয়ে ফিরলেন CPM নেতা-কর্মীরা]
বুধবার ফের মামলাটি আদালতে ওঠে। নিয়োগে স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়াল আদালত। এই নিয়োগ মামলার পরবর্তী শুনানি ২১ ডিসেম্বর। এদিন শিক্ষকদের পোস্টিংয় ও বদলি নিয়েও মুখ খোলেন বিচারপতি বসু। বহু শিক্ষকই গ্রামের স্কুলে চাকরি করতে যেতে চান না। কেউ আবার বদলি নিয়ে চলে আসেন শহরে। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শহর এবং শহরতলিতে বহু স্কুল রয়েছে যেখানে শিক্ষক আছে কিন্তু ছাত্র নেই। এই শিক্ষকদের গ্রামের স্কুলে পাঠালে ভাল হয়, কারণ গ্রামাঞ্চলের বহু স্কুল পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। এরপরই এ বিষয়ে রাজ্যকে পদক্ষেপ করার বা প্রয়োজনীয় নীতি নির্ধারনের পরামর্শ দেন বিচারপতি। শিক্ষকদের উদ্দশ করে বলেন, “হয় গ্রামের স্কুলে যান বা চাকরি ছাড়ুন।”