গোবিন্দ রায়: “কিছুদিন আগে একজন দুবাইতে চোখের চিকিৎসার জন্য যেতে চেয়ে আবেদন করেন। আমরা জানি সেখানে চোখের ভাল চিকিৎসা হয় না তাও আপত্তি করিনি।” কলকাতা হাই কোর্টে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর। তোলাবাজির মামলায় অভিযুক্ত মুম্বইয়ের ব্যবসায়ী নভলানি বিদেশযাত্রার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এদিন এহেন মন্তব্য করলেন বিচারপতি। মামলার পদক্ষেপ শুনানি বৃহস্পতিবার।
মুম্বইয়ের ব্যবসায়ী নাভলনি অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জিতেন্দ্র চান্দেরলাল নভলানি। তাঁর রাজ্য় ছাড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু চিকিৎসার স্বার্থে মুম্বইয়ের ব্যবসায়ীর বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। সেই অনুমতি চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পানশালা ব্যবসায়ী।
[আরও পড়ুন: ‘কাদা সরিয়ে জল স্বচ্ছ করুন’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিট প্রধানকে নির্দেশ বিচারপতির]
এদিন তাঁর আরজির বিরোধিতা করে রাজ্য় সরকার। রাজ্যের আইনজীবী বলেন, “ছোট ব্যাপার। এসএসকেএমে এই চিকিৎসা সম্ভব।” এরপরই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য় করেন বিচারপতি। তাঁর কথায়, “চিকিৎসার জন্য আবেদনকারী কোথায় যেতে চান সেটা তাঁর পছন্দ, তাঁকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।” উল্লেখ্য, এই বিচারপতির কাছ থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দুবাই যাওয়ার অনুমতি পান। এদিন তিনি নাম না করে সেই মামলার কথাই বলেন বলে মত আইনজীবীদের।
দক্ষিণ মুম্বইয়ের (Mumbai) নামী এক পানশালার মালিক জিতেন্দ্র চান্দেরলাল নভলানি। মুম্বই পুলিশের কাছে ৪ জনের বিরুদ্ধে তোলাবাজি, খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। অভিযুক্তরা হলেন রাজর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়, সুমিত বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ দাসগুপ্ত-সহ মোট ৪ জন। অভিযুক্তদের মধ্যে রাজর্ষি বন্দ্য়োপাধ্যায় বাংলার সিআইডি আধিকারিক বলে খবর। অভিযোগ, জিতেন্দ্র চান্দেরলাল নভলানি ও তাঁর স্ত্রী ভূমিকাকে খুনের হুমকি দিয়ে ১০ কোটি টাকা আদায় করতে চেয়েছিল অভিযুক্তরা। পালটা তাঁর বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছিল এ রাজ্যে। সেই মামলার শুনানি চলছে কলকাতা হাই কোর্টে।