রাহুল রায়: আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের ‘মসিহা’ তিনি। সেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ই এবার ডিএ বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তারি নিয়েও মুখ খুললেন। ঘটনাটিকে দুর্ভাগ্যজনক বলেই দাবি কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতির।
বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে বুধবার রাজ্য সরকারি কর্মচারী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা পথে নামেন। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন সরকারি কর্মীরা। তবে তাঁদের মিছিল আটকে দেওয়া হয়। পুলিশ ও সরকারি কর্মীদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ধস্তাধস্তিও শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান সরকারি কর্মীরা। কার্যত দৌড়ে বিধানসভার সামনে পৌঁছন তাঁরা। সেখানে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। আরও একবার পুলিশ ও সরকারি কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরিস্থিতি ক্রমেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আন্দোলনকারীদের দাবি, টেনেহিঁচড়ে তাঁদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়।
[আরও পড়ুন: নিয়োগ করতে গেলেই আদালতে স্থগিতাদেশ, বিধানসভায় উষ্মাপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর]
আন্দোলনকারীদের পুলিশ ঘুষি মারে বলেও অভিযোগ। যদিও মারধরের অভিযোগ খারিজ করেছে পুলিশ। পরিবর্তে তাঁদের উপরেই হামলা করা হয়েছে বলে দাবি লালবাজারের। এই আন্দোলনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মোট ৯টি জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হবে তাঁদের। তার আগে আদালতের বাইরে ফের বিক্ষোভ সরকারি কর্মীদের একাংশের। নিঃশর্ত জামিনে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে, ডিএ আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে তিনি বলেন, “আমি শুনলাম হাই কোর্টের কয়েকজন কর্মীকে বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদের নিম্ন আদালতে পেশ করা হবে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।” ডিএ আন্দোলন নিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ বলেই দাবি বিজেপি নেতার। এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলেই দাবি অধীরের।