গোবিন্দ রায়: আজকের মধ্যেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে নবম-দশম শ্রেণির ভুয়ো শিক্ষকের সুপারিশের তালিকা। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। একইসঙ্গে কমিশনের উদ্দেশে বিচারপতির বার্তা,”কমিশনের অফিসে ভূরি ভূরি দুর্নীতি হয়েছে। নির্ভয় হন। ধেড়ে ইঁদুর বেরবে।” উল্লেখ্য, বুধবার একই নির্দেশ দিয়েও প্রত্যাহার করে নেন বিচারপতি।
এদিন বিচারপতির নির্দেশ, এদের মধ্যে কতজন কোন স্কুলে কর্মরত রয়েছেন তা জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছ থেকে জানতে চাইবে কমিশন। ৩ দিনের মধ্যে কমিশনকে এই তথ্য জানাবেন জেলা স্কুল পরিদর্শকরা। ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে পরবর্তী রিপোর্ট পেশ করবে এসএসসি। আদালতের নির্দেশ, ৩ ডিসেম্বর কমিশন, মামলাকারী এবং সিবিআই নিজেদের মধ্যে বৈঠক করবেন। গাজিয়াবাদ এবং কমিশনের দপ্তর থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া হার্ডডিস্ক থেকে ইতিমধ্যেই OMR শিটের যে নমুনা দেওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে সিবিআই। এরপরই কমিশনকে নির্ভয় হওয়ার বার্তা দিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বাড়ির ১০০ মিটারের মধ্যে অভিষেকের সভা, হেনস্তার আশঙ্কায় আদালতে শুভেন্দু]
এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত সুবীরেশ ভট্টাচার্য মুখ খুলছেন না। তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে জানতে পেরেছেন বিচারপতি। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “সিবিআই আমাকে জানিয়েছে যে সুবীরেশ ভট্টাচার্য মুখ খুলছেন না। তাকে দিল্লি নিয়ে জেরা করা হোক। মুখ খুলতেই হবে।” এরপরই সিবিআইকে তাঁর নির্দেশ, “দুপুর তিনটের সময় এসে আমাকে জানান যে সুবীরেশ ভট্টাচার্য মুখ খুলছেন কি না।” এরপরই বিচারপতির হুঁশিয়ারি, “অকল্পনীয় নির্দেশ দেব। এরা সরকারকে সমস্যায় ফেলছে। কমিশনের অফিসে ভূরি ভূরি দুর্নীতি হয়েছে।”
২০১৬ সালে নবম-দশমে চাকরি পেয়েছেন প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষক। অভিযোগ, সেই নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও ব্যাপক বেনিয়ম হয়েছে। সুপারিশের ভিত্তিতে যোগ্যদের সরিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে অযোগ্যদের। সেই অভিযোগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলা দায়ের হয়। এই মামলায় এসএসসি (SSC) আদালতকে জানিয়েছে, তারা এমন ১৮৩ জনকে খুঁজে পেয়েছে, যাদের নাম মেধাতালিকার নীচে থাকা সত্ত্বেও তাদের নিয়োগের সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ দেন, এই ১৮৩ জনের মধ্যে কারা কারা চাকরি পেয়েছেন তাদের তালিকা আজকের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে SSC-কে।