গোবিন্দ রায়: খাদ্যদপ্তরের নিয়োগেও এবার অনিয়মের অভিযোগ উঠল। সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেআইনি কিছু করা হলে তা বরদাস্ত করা হবে না বলে সতর্ক করল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। খাদ্য দপ্তরের ফুড ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম নিয়ে মামলা হয়। শনিবার ওই মামলাতে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, “তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় যে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে, তাহলে ওই নিয়োগ বাতিল হবে।”
প্রসঙ্গত, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (PSC) মাধ্যমে ২০১৮ সালে ফুড সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগের পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০২১ সালে প্রায় ১০০ জনের নিয়োগ হয়। ফুড ইনস্পেক্টর (Food Inspector) পদে নিয়োগের জন্য ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্যানেল প্রকাশিত হয়। তাতে ৯৫৭ জনের নাম ছিল। ১০০ জন চাকরিও পান। তবে সেই নিয়োগে স্বচ্ছতা নেই, এই অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাই কোর্টে। প্রায় ৮০ জন চাকরিপ্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হন।
[আরও পড়ুন: সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের! স্বামীকে খুন করে মাটিতে ‘পুঁতলেন’ স্ত্রী, সঙ্গী ছেলে-মেয়েরা]
তাঁরা অভিযোগ করেন, পরীক্ষায় একাধিক অনিয়ম রয়েছে। এই নিয়োগে সংরক্ষণ-সহ ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় গলদ রয়েছে। এমনকী ভুল প্রশ্ন ছিল বলে অভিযোগও তোলা হয়। শনিবার সেই মামলায় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে মামলা শুনানি হয়। যদিও এদিন রাজ্য জানায়, মাত্র ৩০ জনকে মামলায় যুক্ত করা হয়েছে। বাকিদের মামলায় যুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক। নাহলে নিয়োগের ক্ষেত্রে রায়ে তাদের উপর প্রভাব পড়তে পারে।
[আরও পড়ুন: জনতার দাবি রাখলেন অভিষেক, দেউচা-পাঁচামির জমিদাতাদের চতুর্থ শ্রেণি পদে নিয়োগ]
রাজ্যের আইনজীবী অভ্রতোষ মজুমদার বলেন, প্রার্থীরা যাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে নিযুক্ত হয়েছেন, তাঁদের বাদ দিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হলে সমস্যা হবে। এরপরই শনিবার আর মামলা শোনেনি ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলায় সকলেরই অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে উচ্চ আদালত। আগামী শুনানির আগে রাজ্য তাঁদের মামলায় যুক্ত করবে। আগামী ৫ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।