গোবিন্দ রায়: নন্দীগ্রাম ‘গণহত্যা দিবসে’ শুভেন্দু অধিকারীকে সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। তবে একাধিক শর্ত বেঁধে দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর সাফ নির্দেশ, যাতে কোনও অশান্তি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে মিছিলকারীদেরই।
মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে শহিদ তর্পণ কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। তবে সোমবার সকাল পর্যন্ত মেলেনি পুলিশের অনুমতি। এরপরই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা মামলা দায়েরের অনুমতি দেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সভার অনুমতি দিল হাই কোর্ট। মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ওইদিন আরও একটি রাজনৈতিক দলকে সকালে সভা করার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘বোমা মেরে মঞ্চ উড়িয়ে দেব’, ধর্মতলায় ডিএ অনশনমঞ্চে হুমকি পোস্টার!]
একই সময়ে বিজেপিকে অনুমতি দিলে আইনশৃঙ্খলা নিতে সমস্যা হতে পারে। সে কারণে বিজেপিকে অনুমতি দেওয়া সম্ভব হয়নি। এরপর আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে সকাল ১০টার মধ্যে সভা করতে হবে শুভেন্দুকে। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে জায়গা খালি করে দিতে হবে। শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে হবে। যাতে জনজীবন ব্যাহত না হয়, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে মিছিলকারীদের। আগামিকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টের মধ্যে তৃণমূল মিছিল করতে পারবে।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। তার পরের বছর থেকে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি নন্দীগ্রাম দিবস পালন করে। সেই সময় তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী তাতে বিশেষ ভূমিকাও নেন। বর্তমানে শিবির বদল করেছেন শুভেন্দু। এখন তিনি বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাই নন্দীগ্রাম দিবস পালন নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন তিনি।