গোবিন্দ রায়: এবার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করবে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি (CID)। সিআইডিকে টিম গঠনের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। অভিযোগ, বাবা যে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেই স্কুলেই চাকরি করেন ছেলেও। অভিযোগ, তাঁর নিয়োগও হয়েছে বেআইনিভাবে। এই মামলার তদন্তভার দেওয়া হল সিআইডিকে। দু’সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট দেবে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা। ১২ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।
অন্য শিক্ষকের সুপারিশপত্র জাল করে চাকরি পেয়েছেন ছেলে। বুধবার ওই ‘ভুয়ো’ শিক্ষকের স্কুলে প্রবেশ এবং বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় সিআইডি ডিআইজিকে তলব করছিলেন তিনি। নির্দেশ মত হাজিরা দেন ডিআইজি-সিআইডি। এরপরই বিশেষ দল গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি। আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, স্কুল পরিদর্শক স্বতঃপ্রাণোদিত এফআইআর দায়ের করবে।
[আরও পড়ুন: বঙ্গভবনের সিসিটিভি ফুটেজ নষ্টের অভিযোগ, গুজরাট পুলিশের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশে অভিযোগ রাজ্যের]
বিস্মিত বিচারপতির প্রশ্ন, “একটি সুপারিশের মেমো নম্বর নিয়ে দু’জন কীভাবে চাকরি করছে? একটি ঘটনা না আরও এমন ঘটনা আছে?” এরপরই তাঁর নির্দেশ, ২০১৬ সালের পর থেকে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, সব জেলার স্কুল পরিদর্শকরা তাঁদের ডেটা তৈরি করবেন। এই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ মামলায় স্কুল পরিদর্শকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি। তাঁর কথায়, “ডিআইয়ের (জেলা স্কুল পরিদর্শক) কাছে এই নিয়োগের তথ্য নেই। মানে ডিআই সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। নিয়োগে দুর্নীতি মানা যাবে না। এর পর এমন তথ্য সামনে এলে রাজ্যের বিপক্ষে যাবে।”
মুর্শিদাবাদের সুতির ১ নম্বর ব্লকের গোথা এয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি। তিনি ওই স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক ছিলেন। বাবার স্কুলেই ছেলের চাকরি নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় মামলা দায়ের হয়। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অন্যের সুপারিশ এবং নিয়োগপত্র জাল করে বাবার স্কুলে চাকরি করতেন অনিমেষ। নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর এক রেখে অনিমেষ নিজের নাম নিয়োগপত্রে বদলে নেন বলেই অভিযোগ।