shono
Advertisement

Breaking News

Tapan Kandu Murder Case: তপন কান্দু হত্যা মামলার সাক্ষী নিরঞ্জনের মৃত্যুতে CBI তদন্তের নির্দেশ হাই কোর্টের

প্রত্যক্ষদর্শী হওয়া সত্ত্বেও নিরঞ্জনের নিরাপত্তা বাড়ানো হল না কেন? প্রশ্ন বিচারপতির।
Posted: 01:01 PM Apr 12, 2022Updated: 05:32 PM Apr 12, 2022

গোবিন্দ রায়: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যা মামলার (Tapan Kandu Murder Case) প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মৃত্যু অস্বাভাবিক। পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এবার সেই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। এর আগে এই মামলার তদন্ত করছিল সিআইডি। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে তদন্তভার স্থানান্তরিত করে দিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সূত্রের খবর, বুধবার ফের মামলার দায়িত্বভার নিতে পারে সিবিআই।

Advertisement

সোমবারই তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের রহস্যমৃত্যুর জল গড়িয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু সোমবার হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন। পূর্ণিমা কান্দুর দাবি ছিল, প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটনায় সিবিআই তদন্ত হোক। সেইসঙ্গে খুনের অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শীদের নিরাপত্তা দাবি করেন তিনি। 

[আরও পড়ুন: ‘সারারাত হাত বেঁধে রেখে দিয়েছিল,’ এবার দুই বিদেশি তারকার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক চাহাল!]

এদিন শুনানির শুরুতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, ”এটা তো ঠিক যে তিনি তপন কান্দু হত্যা মামলার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। তাহলে তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানো হল না কেন? দুটি ঘটনা পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।” এরপর তিনি নির্দেশ দেন, “ঘটনায় FIR দায়ের হয়েছে, সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে, প্রতিবেশীর সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। ফরেনসিক আধিকারিকদের আসতে বলা হয়েছে। তাঁরা এখনও আসেননি। নিরঞ্জন বৈষ্ণব যে ছাত্রদের পড়াতেন, তাদের কাছ থেকে খাতা নিয়ে হাতের লেখা মিলিয়ে দেখা হবে।” 

[আরও পড়ুন: ‘ইউরোপের দিকে নজর দিন’, রুশ তেল আমদানি প্রসঙ্গে আমেরিকাকে কড়া জবাব জয়শংকরের]

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল নিজের ঘর থেকে শেফাল ওরফে নিরঞ্জন বৈষ্ণবের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর ঘর থেকে সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়। তপন কান্দু হত্যামামলার প্রত্যক্ষদর্শী হওয়ায় তাঁকে বারবার পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হচ্ছিল। ফলে মানসিক অবসাদে ভুগে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত বলে সুইসাইড নোটে উল্লেখ করেন তিনি। এই ঘটনার ঠিক পরেরদিনই ঝালদা থানার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুরুলিয়ার এসপির নির্দেশে ইতিমধ্যেই অজ্ঞাতপরিচয়দের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগের মামলা রুজু করে একজন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদা আধিকারিককে এই তদন্তভার দিয়েছিল জেলা পুলিশ। এই ঘটনার তদন্তকারী আধিকারিক আসানসোলে নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত। সূত্রের খবর, বুধবার তাঁর কাছ থেকে এই ঘটনার কেস ডকেট নেবে সিবিআই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement