শুভঙ্কর বসু: এসএসসি নবম ও দশম শ্রেণির নিয়োগ সংক্রান্ত সুপারিশ কমিটির বিরুদ্ধেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। অঙ্ক ও ইতিহাস পরীক্ষায় পাশ না করেও নিয়োগের ১৭টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ওঠে। নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় সুপারিশ করেছিল ওই পাঁচ সদস্যের কমিটি। এবার তাদের ভূমিকাই খতিয়ে দেখবে সিবিআইয়ের ডিআইজি পদাধিকারী আধিকারিক। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে হাই কোর্টে।
রাজ্যের নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় বুধবার রীতিমতো কাঠগড়ায় উঠতে হয় স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) দুই আধিকারিককে। আদালতের নির্দেশ মতো স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুই আধিকারিক শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং সমরজিৎ আচার্য কলকাতা হাই কোর্টে সশরীরে হাজিরা দেন। তাঁদের কাঠগড়ায় তুলে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মামলার শুনানিতে দুই আধিকারিককে কাঠগড়ায় ডেকে আলাদা করে শপথবাক্য পাঠ করানো হয়। তারপর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিচারপতি।
[আরও পড়ুন: যুদ্ধবিধ্বস্ত কিয়েভে বাড়ছে ধর্ষণ, ডাকাতি! জেলেনস্কির প্রশাসনকে দুষলেন ইউক্রেনীয় সাহিত্যিক]
সাধারণত অভিযুক্তদের কাঠগড়ায় তুলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু দুই আধিকারিককে এভাবে কাঠগড়ায় তুলে জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনা নজিরবিহীন। অভিযোগ, প্যানেলে নাম না থাকা সত্ত্বেও শেখ ইনসান আলি নামে এক ব্যক্তিকে দু’বার রেকমেন্ডশন লেটার দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই সুপারিশ অনুযায়ী তিনি চাকরিও করছিলেন একটি স্কুলে। তাঁর চাকরি ইতিমধ্যেই বাতিল করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার এই মামলায় নিয়োগ সংক্রান্ত সুপারিশ কমিটির বিরুদ্ধেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিক পাঁচ সদস্যের ওই কমিটির বিরুদ্ধে তদন্ত করবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে হাই কোর্টে। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে আদালত।