গোবিন্দ রায়: ঘুষের বিনিময়ে স্কুল শিক্ষক বদলি মামলায় সিআইডি (CID) ডিআইজিকে তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ঘুষ নেওয়ার ভাইরাল অডিও ক্লিপিংয়ের সত্যতা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন তিনি। কারা এই চক্রান্তের নেপথ্যে রয়েছে, সে সংক্রান্ত তথ্য খুঁজে বের করতে হবে। এক মাস পরে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে সিআইডিকে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের মনসুকার লক্ষ্মীনারায়ণ হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক গণেশ রজতের মামলার ভিত্তিতেই এই রায় দেন বিচারপতি। মামলাকারী বছরখানেকের মধ্যে কমপক্ষে পাঁচবার শিক্ষাদপ্তরে বদলির আবেদন জানিয়েছিলেন। আবেদন খারিজ করে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরে স্কুলের পরিচালন সমিতির সদস্য অসিত গোস্বামীর সঙ্গে মধ্যস্ততা হয় তাঁর। অসিত দাবি করেন, এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে বদলির বন্দোবস্ত করে দেবেন। ফোনে কথোপকথন রেকর্ড করেন শিক্ষক। ওই অডিও ক্লিপিং নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন গণেশ রজত।
[আরও পড়ুন: যৌনতা নিয়ে ছুঁতমার্গ দূর করতে ‘সাহসী’ ব্যবসা, বাড়িতে সেক্স টয় পৌঁছে দেবেন দম্পতি]
বুধবার এই মামলা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) ওঠে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ওঠে। অডিও ক্লিপিং শোনেন তিনি। ওই অডিও ক্লিপিংয়ে বদলির বিনিময়ে এক লক্ষ টাকা দাবির কথা শোনা যায়। এভাবে অনেকজনকে তিনি বদলির বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন বলেও ওই অডিও ক্লিপিংয়ে শোনা যায়।
ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার ডিআইজি সিআইডির নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু এই স্কুলই নয়, চাকরিতে বদলির ক্ষেত্রে বৃহত্তর চক্র কাজ করছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেন বিচারপতি। হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, DIG CID প্রয়োজনে জেলা পুলিশের সাহায্য নেবেন।