গোবিন্দ রায়: এগারো বছরের নাবালিকার আদৌ গর্ভপাত সম্ভব কিনা, তা জানতে মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও তমলুক হাসপাতাল সুপারকে মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিল হাই কোর্ট। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে বোর্ড গঠন করতে হবে। পরের ৪৮ ঘণ্টায় নাবালিকার যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। সোমবার রিপোর্ট দিতে হবে হাই কোর্টে। সেদিনই চূড়ান্ত নির্দেশ দেবে আদালত।
অভিযোগ, পাড়ায় খেলতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় বছর এগারোর নাবালিকা। যা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি নাবালিকার বাবা-মা। যখন তাঁরা জানতে পারেন ততদিনে ২৩ সপ্তাহ ৬ দিনের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে মেয়ে। আইন অনুযায়ী, ২০ সপ্তাহ সময় পর্যন্ত গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন চিকিৎসকরা। পরবর্তীতে গর্ভাপাত করতে আদালতের অনুমতির প্রয়োজন। তাই বাধ্য হয়েই কোলাঘাটের বাসিন্দা ওই দম্পতিকে নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা কন্যার গর্ভপাতের অনুমতি নিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতে হয়।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনের ফ্ল্যাট থেকে পরিচারিকার দেহ উদ্ধার, কীভাবে মৃত্যু, তদন্তে পুলিশ]
মামলাকারীর তরফে আইনজীবী প্রতীক ধর ও চিত্তপ্রিয় ঘোষ জানান, গত ২২ জুলাই নাবালিকার পরিবার জানতে পারেন তাঁদের মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা। ওইদিনই কোলাঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পারে পাড়ায় খেলতে গিয়েই গণধর্ষণের শিকার হয় ওই নাবালিকা। ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারাও নাবালক। তাই জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের নির্দেশে বর্তমানে তারা হোমে রয়েছে। ঘটনার পরদিন নাবালিকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানতে পারেন সে ২৩ সপ্তাহ ৬ দিনের অন্তঃসত্ত্বা। সবদিক বিবেচনা করে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য নাবালিকার গর্ভপাতের নির্দেশ দেন।