রাহুল রায়: রবীন্দ্রভারতীর (Rabindra Bharati University) জোড়াসাঁকো-সহ ৩ ক্যাম্পাসে হেরিটেজ ভবনের কোনও অংশ ভাঙা যাবে না। আদালতের নির্দেশের পরও যদি রবীন্দ্রভারতীর হেরিটেজ ভবন ভাঙা হয়, তাহলে জবাবদিহি করতে হবে রাজ্যকেই। নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court)। রবীন্দ্রভারতীর জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে হেরিটেজ ভবন ভেঙে বানানো হচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতির কার্যালয়। এই অভিযোগে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ আদালতের।
মামলাকারী আইনজীবী শ্রীজিব চক্রবর্তীর অভিযোগ, জোড়াসাঁকোর বাড়িতে যে ঘরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে প্রথমবার বঙ্কিমচন্দ্র চটোপাধ্যায়ের দেখা হয়েছিল, সেই ঘরে এখন তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতি নামর সংগঠনের অফিস করা হয়েছে। অথচ এটি ‘গ্রেড ওয়ান’ হেরিটেজ। একই ঘটনা ঘটেছে ৩ ক্যাম্পাসেই।
[আরও পড়ুন: বিরাট লোকসান! টুইটারের পর কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে আরেক জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া]
জোড়াসাঁকোর সেই ঘরে রবি ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটিও ছবি নেই। সেখানে টাঙানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ছবি। ইতিমধ্যে দু’টো ঘর ভাঙা হয়েছে বলে খবর। হেরিটেজ ভবনে আর ভাঙচুর করা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ও বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব।
এই ঘটনায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে ও রাজ্যকে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ২১ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।