রাহুল রায়: ২০১৪ সালের টেটে ভুল প্রশ্নের মামলায় আরও ২২ জনকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। যোগ্যতার ভিত্তিতে অবিলম্বে তাঁদের নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশে আগেই প্রাথমিক শিক্ষক পদে ১৮৫ জন চাকরি পেয়েছেন। এবার আরও ২২ জনের নিয়োগের নির্দেশ দিল আদালত।
ইতিপূর্বে টেটের প্রশ্নের ভুল থাকার মামলায় চারদফায় ২৩ জন, ৫৪ জন, ১১২ জন ও ৬৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল আদালত। এবার সেই তালিকায় যোগ হল আরও ২২ জনের নাম।
[আরও পড়ুন: ‘দিল্লিতে আছি’, সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ হাতিয়ার করে সিবিআই হাজিরা এড়ালেন মানিক]
২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নির্ণায়ক পরীক্ষা বা টেটের প্রশ্নপত্রে ৬টি প্রশ্নে ভুল ছিল। এ নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাই কোর্টে। ২০২১ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদকে পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। অতিরিক্ত নম্বর দেওয়ার পরই দেখা যায় বহু পরীক্ষার্থী টেটে পাশ করে গিয়েছেন। এবার তাঁদের নিয়োগের নির্দেশ দিল আদালত।
২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট (Primary TET) দিয়েছিলেন আরও ২৪ জন পরীক্ষার্থী। কিন্তু ২০১৬ সালে ফল প্রকাশ হলে দেখা যায় তাঁরা টেট পাশ করেননি। স্বাভাবিকভাবেই সেই সময় চাকরি পাননি তাঁরা। এর মধ্যে অন্য একটি মামলায় দেখা যায়, ভুল প্রশ্ন থাকায় চাকরিপ্রার্থীদের নম্বর বাড়াতে রাজি হয় পর্ষদ। তারপরই কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন এই ২৩ টেট পরীক্ষার্থী। এরপর ওই নম্বর দেওয়া যায় কিনা তা পর্ষদকে বিচার করতে বলে হাই কোর্ট। নিজেদের ভুল স্বীকার করে নম্বর বাড়িয়ে দেয় পর্ষদ। এই সূত্র ধরে প্রায় ২০০ জন পরীক্ষার্থীকে নিয়োগের নির্দেশ দিল আদালত।