রাহুল রায়: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী এবং শ্যালিকার বিরুদ্ধে চলা মামলা আর কতদিন চলবে? কেন্দ্রীয় সরকারের শুল্কদপ্তরের আইনজীবীর উদ্দেশে প্রশ্ন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের। আগামী মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
২০১৯ সালের ১৬ মার্চ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) স্ত্রী রুজিরা নারেলা এবং শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর ব্যাংকক থেকে ফিরছিলেন। দমদম বিমানবন্দর থেকে ২ কেজি সোনা-সহ তাঁদের আটক করা হয়। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন দু’জনে। পরে তাঁদের বিধাননগর থানার পুলিশ বার করে আনে। সেবছরই ২২ মার্চ দু’জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে শুল্কদপ্তর। পরে রুজিরা ও মেনকাকে কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডের অফিসে তলব করা হয়।
[আরও পড়ুন: এসটিএফের বড়সড় সাফল্য, কলকাতায় গুলি ও বন্দুক-সহ গ্রেপ্তার কুখ্যাত দুষ্কৃতী]
শুল্কদপ্তরের বিরোধিতা করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেকের স্ত্রী ও শ্যালিকা। সিঙ্গল বেঞ্চে স্বস্তি পান দু’জনে। সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় শুল্কদপ্তর। ২০২০ সালে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ শুল্কদপ্তরে হাজিরা দিতে হবে না বলে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেয়।
কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুক্রবার ওই মামলাটিরই শুনানি হয়। শুনানির শুরুতেই অভিবাসন দপ্তরের পক্ষ থেকে কিছু সময় চেয়ে নেওয়া হয়। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের শুল্কদপ্তরের আইনজীবীর উদ্দেশে প্রশ্ন করা হয়, “দু’বছর ধরে তদন্ত করছেন। এবার তদন্ত শেষ করুন।” প্রশ্ন করা হয়, কেন রাজ্যের করা মামলায় শুল্ক দপ্তরকে হয়রান করা হচ্ছে? এবং রাজ্যের করা শুল্কদপ্তরের বিরুদ্ধে করা মামলার বর্তমান অবস্থা কী? মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ডিসেম্বর মাসে।