সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির আপত্তি উড়িয়ে বিধানসভায় বড় বিল পাশ করল কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার। শুক্রবার কর্নাটকের সিদ্দারামাইয়া সরকার পাশ করেছে ঘৃণাভাষণ ও ঘৃণাপরাধ (প্রতিরোধ) বিল। যার মাধ্যমে রাজ্যে অশান্তি ছড়াতে কেউ ঘৃণাভাষণ দিলে হতে পারে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। এই বিলের প্রতিবাদে সরব হয়েছে কর্নাটকের বিজেপি ও জেডিএস। এই পদক্ষেপ গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের চেষ্টা বলে অভিযোগ তুলেছে তারা।
গত ৪ ডিসেম্বর ঘৃণাভাষণ ও ঘৃণাপরাধ (প্রতিরোধ) বিলকে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ও উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার। এরপর ১০ ডিসেম্বর বিলটি পেশ করা হয় বিধানসভায়। বৃহস্পতিবার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাশ হয়ে যায় বিলটি। এরপর শুক্রবার বিধানপরিষদে বিলটি পেশ হলে সেখানে বিরোধীদের আপত্তি উড়িয়ে তা পাশ হয়ে যায়। এবার রাজ্যপালের অনুমোদন মিললেই আইনে পরিণত হবে বিলটি। এই বিল যদি আইনে পরিনত হয় সেক্ষেত্রে ঘৃণাভাষণের অপরাধে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
তবে বিল পাশ হলেও বিলের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ শুরু করেছে বিজেপি ও এনডিএ-র শরিক দল জেডিএস। তাঁদের অভিযোগ, কংগ্রেস সরকার চাইছে এই আইনের মাধ্যমে বিরোধীদের কণ্ঠস্বর দমন করতে। এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কর্নাটকের সাংসদ প্রহ্লাদ যোশী। তিনি বলেন, ''এই বিল আসলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ। সরকার বিরোধীদের সমালোচনা সহ্য করতে না পেরেই এই ধরনের বিল আনছে। ব্যাপকভাবে এই আইনের অপব্যবহার করবে কংগ্রেস সরকার।"
উল্লেখ্য, ঘৃণাভাষণের অভিযোগ দেশে নতুন কিছু নয়। বহুবার দেশের নানা প্রান্তে বিজেপির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি উঠেছে এই ধরনের অভিযোগ। ২০২২ সালে দিল্লি দাঙ্গায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের মুখে শোনা গিয়েছিল, 'দেশ কি গদ্দারো কো, গোলি মারো...' সাম্প্রতিক সময়ে নলীন কাতিল, অনন্তকুমার হেগড়ে-সহ কর্নাটক বিজেপির কয়েক জন প্রথম সারির নেতাদের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণাভাষণের অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে তোপ দেগেছে আদালত।
