গোবিন্দ রায়: ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতে না হতেই বাংলায় দিকে দিকে মিলেছে অশান্তির খবর। এই ইস্যুতে কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হয় মামলা। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় কড়া কলকাতা হাই কোর্ট। রাজ্য সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা আদালতের। বাংলার ক্ষেত্রে ভোট পরবর্তী হিংসা কোনও অপরিচিত শব্দ নয়, মন্তব্য বিচারপতি কৌশিক চন্দের ডিভিশন বেঞ্চের।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, লোকসভা ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটলে সরাসরি রাজ্যের ডিজিকে ই-মেল মারফত অভিযোগ জানাতে পারবেন আক্রান্ত ব্যক্তি। ধর্তব্যযোগ্য বা আদালতগ্রাহ্য অপরাধ হলে সঙ্গে সঙ্গে ডিজি স্থানীয় থানাকে উপযুক্ত ধারায় এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেবেন। এফআইআর দায়ের করার পর উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে পুলিশ। রাজ্যে কটি ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ এসেছে এবং কটি ক্ষেত্রে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ এবং কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্যের ডিজিকে।
[আরও পড়ুন: ‘অগ্নিবীর’ প্রকল্পের পুনর্বিবেচনা! নীতীশ কিংমেকার হতেই দাবি জেডিইউ নেতার]
এছাড়া এফআইআর দায়ের করার সঙ্গে সঙ্গে সেটা রাজ্য পুলিশের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। এফআইআর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজন পড়লে রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পদক্ষেপ করতে হবে। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, "এরাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস কোনও অপরিচিত শব্দ নয়। সরকার যদি রাজ্যবাসীর জীবনরক্ষায় ব্যর্থ হয়, তাহলে আদালত উপযুক্ত নির্দেশ দেবে। আমরা রাজ্যের সমস্ত মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই।"
উল্লেখ্য, এবার লোকসভা নির্বাচনে তেমন বড় কোনও অশান্তি হয়নি। সপ্তম দফার ভোটপর্ব শেষে সে কথা জানান খোদ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তবে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর অশান্তির আশঙ্কা করেন। তাই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের মেয়াদও বাড়ানো হয়। সেই আশঙ্কাই যেন সত্যি হল! মঙ্গলবার রাত থেকেই বিরোধী শিবিরের দাবি, বঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় তৃণমূল। যদিও সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক শিবির। আইনজীবী সুস্মিতা দত্ত সাহার দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী দলের ১১ জন কর্মী এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন। অবিলম্বে তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।