রাহুল রায়: গরু পাচার মামলায় আপাতত জেলে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। তবে বোলপুর পুরসভায় বিল্ডিং প্ল্যান পাশের জন্য অনুদান সংক্রান্ত মামলায় স্বস্তিতে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। সিবিআই তদন্তের দাবিকে মান্যতা দিল না কলকাতা হাই কোর্ট।
বোলপুর পুরসভার বর্তমান চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ এবং তাঁর স্বামী সুদীপ্তর বিরুদ্ধে পুরসভার নামে বিল ছাপিয়ে টাকা আদায় করার অভিযোগ ওঠে। ওই দু’জনের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, টাকা না দিলে বাড়ি তৈরির প্ল্যান দিতেন না তাঁরা। এই ঘটনায় নাম জড়ায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলেরও। এই মর্মে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা রুজু হয়। সিবিআই তদন্তের দাবিও জানানো হয়। ওই মামলায় হাই কোর্টে বোলপুর পুরসভার তরফে জানান হয়, অবৈধভাবে টাকা নেওয়া হয়নি। অনুদানের সমস্ত হিসাবনিকাশ পুরসভার কাছে জমা রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ২০১৪’র টেটের প্রশ্নে ভুল, আরও ২২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাই কোর্টের]
বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। তাতেই বলা হয়, বোলপুর পুরসভায় বিল্ডিং প্ল্যান পাশের জন্য অনুদান সংক্রান্ত মামলায় এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করল না হাই কোর্ট। এখনই এই মামলায় সিবিআই তদন্তের কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, মামলার পক্ষে এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত নথি নেই। আবেদন করলে মামলাকারীকে নথি দেবেন বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন। তারপর প্রয়োজন হলে আবারও আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন মামলাকারী। তার ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে অনুব্রত মণ্ডল এবং বোলপুর পুরসভাও।
উল্লেখ্য, গত ১১ আগস্ট বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন অনুব্রত মণ্ডল। বর্তমানে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে রয়েছেন তিনি। একাধিকবার জামিনের আবেদন করেছেন অনুব্রতর আইনজীবী। তবে শারীরিক অসুস্থতার যুক্তিতেও মেলেনি জামিন। তার ফলে উৎসবের মরশুমেও জেলেই থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে।