শুভঙ্কর বসু: ভারতী ঘোষের স্বামীকে এখনই গ্রেপ্তার নয়। সোনা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দায়ের হওয়ায় প্রতারণা মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রধান বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলাটির শুনানি চলছে। বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, এখনই ভারতী ঘোষের স্বামীকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। পাশাপাশি অভিযুক্ত এমএভি রাজুর জন্যও বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশিকা অনুযায়ী, রাজুর পাসপোর্ট হাই কোর্টে জমা রাখতে হবে। পুলিশি তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে। শুধু দেশই নয়, নেতাজিনগর থানা এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না রাজু। তদন্ত চলাকালীন সপ্তাহে একদিন করে থানায় হাজিরা দিয়ে উপস্থিতি জানান দিতে হবে।
[বৃদ্ধ বাবাকে বঁটির কোপ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত মদ্যপ ছেলে]
উল্লেখ্য, বাতিল নোটের বদলে নতুন নোট দেওয়ার নাম করে সোনা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এমএভি রাজুর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগেই সম্প্রতি আইপিএস ভারতী ঘোষের স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের হয়। রাজু জানতেন পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করবে। তাই আগেভাগেই জামিনের আবেদন করে রেখেছিলেন। সেই প্রাতণার মামলারই শুনানি ছিল এদিন। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ১২ মার্চ। ডিভিশন বেঞ্চের এহেন নির্দেশিকায় কিছুটা হলেও স্বস্তিতে ভারতী ঘোষের স্বামী। তবে আদালতের বিনা অনুমতিতে এলাকা না ছাড়ার প্রসঙ্গে অস্বস্তির খোঁচা রয়েই গেল।
এর আগে কেশপুরের স্বর্ণ ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতী ঘোষের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী সুজিত মণ্ডলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। সোনার বদলে টাকা দ্বিগুণ করার চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে ভারতী ঘনিষ্ঠ দুই পুলিশ অফিসারের নাম উঠে আসে। শুভঙ্কর দে এবং চিত্ত পাল নামে ওই দুই অফিসারকে পশ্চিম মেদিনীপুরের বাড়ি থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়। এর পরেই পুলিশের নিশানায় খোদ আইপিএস ভারতী ঘোষ। বারবার নোটিস পাঠিয়েও সাড়া না মেলায় সিআইডির তরফে আদালতে ভারতীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। সেই মতো ঘাটাল আদালত ভারতী ও সুজিতের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারিতে সম্মতি দেয়। ইতিমধ্যেই ভারতী ঘোষ ও সুজিত মণ্ডলের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। তবে দুজনেরই কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ভারতী ঘোষের মোবাইল ফোন সুইচ অফ। তাঁর খোঁজে মাদুরদহের ফ্ল্যাটে বার বার তল্লাশি চালায় পুলিশ। এরপর স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দায়ের করা তোলাবাজির অভিযোগের ভিত্তিতে এমএভি রাজুকে থানায় ডেকে পাঠিয়েছিল পুলিশ। পরে নেতাজিনগর থানা থেকেও আসে ডাক। এর পরেই থানায় চিঠি পাঠিয়ে তাঁর আইনজীবী পিনাকী ভট্টাচার্য জানান, ভারতীর স্বামী এমএভি রাজু অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন। সেই মামলার শুনানিতে সংশ্লিষ্ট থানা এলাকায় একপ্রকার গৃহবন্দি হয়ে পড়লেন।
[বাঘাযতীনে বিয়েবাড়িতে এসে মৃত্যু ইছাপুরের যুবকের, আন্ত্রিকের অভিযোগ পরিবারের]
The post এখনই গ্রেপ্তার নয় ভারতীর স্বামীকে, নির্দেশ হাই কোর্টের appeared first on Sangbad Pratidin.