গোবিন্দ রায়: ৬ বছর আগে ২০১৭ সালে মালদহ জেলার বন্যার ত্রাণের টাকা বণ্টন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ক্যাগ)-এর রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রাথমিকভাবে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখে তার ৮ সপ্তাহের মধ্যে ক্যাগকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাগ্নানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালত আরও জানিয়েছে, ক্যাগ (CAG) ওই অভিযোগের অনুসন্ধান করবে। প্রয়োজন হলে যে কোনও সরকারি আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। দরকার হলে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রও চাইতে পারেন ক্যাগ কর্তারা। আগামী ১২ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি।
[আরও পড়ুন: বিরোধিতার ‘শাস্তি’! আকাশপথে জুন্টার হামলায় মৃত অন্তত ১০০]
২০১৭ বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য ৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। এনিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন প্রাক্তন বিধায়ক মুস্তাক আলম। তাঁর অভিযোগ, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে ১২টি ব্লকের ১০২টি গ্রাম পঞ্চায়েতে এই টাকা বিলি করা হয়। গ্রামের প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ এবং জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষরা নিজেদের আত্মীয় পরিজনদের বিলিয়ে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করা হয়।
এমনকী মামলায় অভিযোগ উঠেছে, কারা ত্রাণের টাকা পাবেন, তৃণমুলের পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা সেই তালিকা তৈরি করেন। পরে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত কেউই টাকা পাননি। এর আগে এই সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত এবং ক্ষতিপূরণের পাওয়ার যোগ্য তাদের ক্ষতিপূরণের বরাদ্দ টাকা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিলেন হাই কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি।