গোবিন্দ রায়: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলায় কেস ডায়েরি চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পুলিশকে ২৬টি মামলার কেস ডায়েরি দিতে বলে আদালত। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশ, আগামী ৮ আগস্ট ওই সব মামলায় কেস ডায়েরি আদালতে জমা দিতে হবে পুলিশকে। এর আগে ওই ২৬টি মামলায় রক্ষাকবচ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। তখন হাই কোর্ট জানিয়েছিল, আদালতের অনুমতি ছাড়া বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর দায়ের করা যাবে না। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সেই নির্দেশও বহাল রেখেছে আদালত।
২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর, তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মোট ২৬ টি এফআইআরের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, দলবদলের কারণে প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন। পরিকল্পনামাফিক একের পর এক মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। যার অধিকাংশই ভিত্তিহীন। সেই কারণে শুভেন্দু অধিকারী তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া সমস্ত মামলা খারিজের আবেদন করেন। অন্যথায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানান।
[আরও পড়ুন: ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস, লাইনচ্যুত ১০-১২টি কামরা]
সেই মামলায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ, শুভেন্দু অধিকারী একটা সময়ে তৃণমূলে ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিরোধী দলেনতা। মানুষের ভোটে নির্বাচিত। ফলে পুলিশ নিজে অথবা অন্য কারও নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলে বিরোধী দলনেতার কাজ স্তব্ধ করার চেষ্টাও করতে পারে। সে কারণেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ২৬টি এফআইআরেই অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। এছাড়া কলকাতা হাই কোর্টের অনুমতি ছাড়া শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নতুন করে আরও কোনও এফআইআর করা যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা।
তবে রক্ষাকবচের পরেও কীভাবে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হল, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি মান্থা। আদালতের অনুমতি ছাড়া রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এফআইআর করা যাবে না বলেই জানান বিচারপতি। আগামী ৮ আগস্ট শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত এফআইআরের কেস ডায়েরি জমা দিতে হবে আদালতে। তার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে হাই কোর্ট।