গোবিন্দ রায়: ভোটের মুখে অতিসক্রিয়তা দেখাচ্ছে পুলিশ, এই অভিযোগ তুলে এবার কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) দ্বারস্থ হলেন ভাঙড়ের জেলবন্দি তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের (Arabul Islam) স্ত্রী। অভিযোগ, ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার কলকাঠিতেই জেলে যেতে হয়েছে আরাবুলকে। তাঁর আবেদনকে গুরুত্ব দিয়ে আদালত রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চাইল, আরাবুলের বিরুদ্ধে কটি মামলা আছে, কটিতে চার্জশিট জমা পড়েছে। আগামী ৮ দিনের মধ্যে তা বিস্তারিত জানাতে হবে রাজ্য সরকারকে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৬ এপ্রিল।
মাস দুই আগে, ফেব্রুয়ারিতে ভাঙড়ের (Bhangar) 'তাজা নেতা' আরাবুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তেইশের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে ভাঙড়ে আইএসএফ কর্মী খুনের ঘটনায় তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ আরাবুলের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। আপাতত তিনি জেল হেফাজতে। গ্রেপ্তারের (Arrest) পর আরও দুটো মামলায় যুক্ত করা হয় আরাবুলকে। জেলবন্দি অবস্থাতেই খুনের আশঙ্কায় নিরাপত্তার আবেদন জানান তিনি। ছেলে হাকিমুলও একই আশঙ্কা প্রকাশ করেন। আর এসবের নেপথ্যে তাঁরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার আরেক দাপুটে তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লাকে (Saokat Mollah) দায়ী করেছিলেন।
[আরও পড়ুন: বোম মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে কলকাতার ২০০ স্কুল! জঙ্গি-মেল ঘিরে আতঙ্ক চরমে]
এর পর এপ্রিলের ২ তারিখ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আদালতের দ্বারস্থ হন আরাবুল ইসলাম। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ অতিসক্রিয় হয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এই মর্মে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন আরাবুল। সেই মামলাতেই সোমবার আরাবুলের স্ত্রী জাহানারা সরাসরি শওকত মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আদালতে যান। তাঁর নির্দিষ্ট অভিযোগ, লোকসভা ভোটের সময় আরাবুলকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ভাঙড় এলাকায় আরাবুলের সক্রিয়তার কথা সর্বজনবিদিত। বিশেষত তৃণমূলের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসেবে তাঁর ভূমিকা জানেন সকলে। আরাবুলের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। এবার তা নিয়ে হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চান, জেলবন্দি তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ক’টি মামলা আছে। আগামী ৮ দিনের মধ্যে তা জানাতে হবে রাজ্যকে।