গোবিন্দ রায়: মাটিয়া এবং মালদহ ধর্ষণ কাণ্ডের রাজ্যের রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। পাশাপাশি পেশ করতে হবে কেস ডায়রিও। চারদিনের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা করতে হবে আদালতে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ এপ্রিল।
মাটিয়া (Matia Rape Case) এবং মালদহে (Maldah Rape Case) দুই নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলায় এদিন কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের রিপোর্ট চাইল। কেস ডায়রি-সহ নির্যাতিতাদের মেডিক্যাল রিপোর্টও চেয়েছে আদালত। আগামী সোমবারের মধ্যে রাজ্যকে সেই রিপোর্ট পেশ করতে হবে।
[আরও পড়ুন: জমায়েত হঠাতে পুলিশের তাড়া, পালাতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু, উত্তপ্ত পাতিপুকুর]
পাশাপাশি, নির্যাতিতাদের সর্বোত্তম চিকিৎসা দেওয়ারও সুপারিশ করেছে হাই কোর্ট। এ প্রসঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, হাসপাতালের বিশিষ্ট চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিক্যাল টিম গঠন করতে হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন মনে করলে বাইরে থেকেও যে কোনও বিশিষ্ট চিকিৎসককে নিযুক্ত করতে পারবে। একইসঙ্গে নির্যাতিতাদের পরিবারের লোককে দেখা করতে দিতে হবে বলেও নির্দেশ দিল আদালত।
প্রসঙ্গত, ২৪ মার্চ ১১ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বসিরহাটের (Basirhat) মাটিয়া এলাকায়। উপহারের লোভ দেখিয়ে নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে পাশবিক অত্যাচারের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা আপাতত আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ভরতি। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে তাঁর যৌনাঙ্গে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। নির্যাতিতা সংকটজনক অবস্থায় এইচডিইউতে (HDU) ভরতি। তার চিকিৎসার স্বার্থে গঠিত হয়েছে ৫ সদস্যের মেডিক্যাল টিম। ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্ত-সহ দু’ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: অভিযোগ জানিয়ে লাভ হয়নি, হারানো লাগেজ উদ্ধারে Indigo’র ওয়েবসাইট হ্যাক যুবকের]
এরপর ২৭ মার্চ দশম শ্রেণির ছাত্রীর মুখ-হাত বেঁধে, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। পরে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করা হয়। এই দুই ঘটনায় কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল।