গোবিন্দ রায়: আদালতের নির্দেশ না মানায় একদিন আগেই রাজ্যের শিক্ষাদপ্তরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। এবার ওই একই অভিযোগে পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে পাকাপাকি ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অবিলম্বে এব্যাপারে শিক্ষা সচিবকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বিচারপতি আরও বলেন, “আমি মনে করি, আপনি শারীরিক ভাবে এই পদে কাজ করতে অপারগ।” হাই কোর্ট শিক্ষাসচিবকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের এই চেয়ারম্যানকে সরানোর বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছে হাইকোর্ট। যদিও আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আর্জি জানাবেন বলে এদিন জানিয়েছেন মধুসূদনবাবু। পাশাপাশি, বদলি সংক্রান্ত মালাতেও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও রামনবমী অশান্তির তদন্তে ‘অসহযোগিতা’ রাজ্যের, হাই কোর্টে NIA]
পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক শিক্ষকের বদলি সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি চেয়ারম্যানকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু মধুসূদনবাবু তা করেননি। শিক্ষা সংসদের এক কর্মীকে দিয়ে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন। এদিন শুনানি হাজির হলে বিচারকের প্রশ্নের মুখে পড়েন চেয়ারম্যান। মধুসূদনবাবু আদালতে জানান, পর পর করোনা ও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই কারণে সশরীরে এসে হলফনামা জমা না দিয়ে পদস্থ কর্মীকে পাঠিয়েছিলেন। তার জন্য তিনি আদালতে ক্ষমাও চান। যদিও তাতে সন্তুষ্ট হননি বিচারক। মধুসূদনবাবুকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দিতে বলেছেন।
এই বিষয়ে এদিন মধুসূদনবাবুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, “করোনা, ডেঙ্গুতে পরপর অসুস্থ হওয়ার কারণে আমি সশরীরে হাজির হয়ে হলফনামা দিতে পারিনি। সেই কারণে আমাকে অব্যাহতি দিতে বলেছে হাই কোর্ট। তবে নির্দেশের কপি হাতে পাইনি। কপি পাওয়ার পর ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করবো।” পাশাপাশি তিনি জানান, যে স্কুলে শিক্ষক বদলির জন্য মামলা ওই স্কুলে মাত্র দুই জন শিক্ষক। তাই একজন শিক্ষককে বদলি করে দিলে মাত্র একজন শিক্ষককে দিয়ে স্কুল পরিচালন করা, মিড ডে মিল চালানার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। এই সংক্রান্ত বিষয়েও হাই কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে তার বিরুদ্ধেও ডিভিশন বেঞ্চে তাঁরা আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন মধুসূদনবাবু।