গোবিন্দ রায়: বুধবার রাতে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ভাঙচুর নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য প্রশাসন। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। সেমিনার হলের কাছের ঘর ভাঙা হল কেন? রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল হাই কোর্ট।
শুক্রবার আরজি কর মামলার শুনানি শুরু হয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চে। বুধবারের ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিল আদালত। হাই কোর্টের প্রশ্ন, "পুলিশ নিজেকে রক্ষা করতে পারছে না। জনতাকে ঠেকাতে পারছে না। আইনশৃঙ্খলা কী ভাবে রক্ষা করবে?" এদিন শুনানিতে রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়, বুধবার রাতে হঠাত হাজার সাতেক মানুষ হাসপাতালে ঢুকে পড়ে। ফলে তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। তাতে হাই কোর্টের পালটা প্রশ্ন, কোথাও ১০০ মানুষের জমায়েত হলেও পুলিশের জানার কথা। সেখানে এত মানুষ জড়ো হল অথচ পুলিশ জানল না? আগে থেকে গোটা ঘটনাস্থল কেন নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হল না?
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরের বিধানসভাতেও ইন্ডিয়া জোটে জট! ভোট ঘোষণার আগেই ‘একলা চলা’র বার্তা আবদুল্লাদের]
আর জি করের সেমিনার হলের কাছের ঘরটি ভাঙা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুলেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, ওই ঘর ভাঙার এত তাড়াহুড়ো কীসের? এত বড় একটা ঘটনা ঘটেছে, এই পরিস্থিতিতে আপনারা সেখানে ডিস্টার্ব করছেন!" রাজ্য সরকার এদিন আদালতে দাবি করেছে, যে সেমিনার হল থেকে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, সেই স্থান সুরক্ষিত রয়েছে। রাজ্যকে এই মর্মে হলফনামা দিতে বলেছে হাই কোর্ট। হামলার ফলে হাসপাতালের কোন অংশ কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটা নিয়ে হলফনামা দেবে রাজ্য।
[আরও পড়ুন: ‘মোদিজি এবার তো সত্যিটা মানুন’, স্বাধীনতা দিবসে রাহুলকে পিছনে বসানোয় ক্ষুব্ধ কংগ্রেস]
এদিন একই সঙ্গে সিবিআইকেও ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় কিছু মানুষ যেভাবে নির্যাতিতার নাম ও ছবি প্রকাশ করছে, সেটাও বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।