shono
Advertisement

Breaking News

ফের বেনিয়ম? খাদ্যদপ্তরের নিয়োগেও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ কলকাতা হাই কোর্টের

১৬১ জন অস্থায়ী কর্মী নয়া নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
Posted: 06:04 PM Aug 24, 2022Updated: 08:37 AM Aug 25, 2022

রাহুল রায়: শিক্ষা, দমকলের পর এবার খাদ্যদপ্তরের নিয়োগেও সাময়িক স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। নতুন নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিহারা অস্থায়ী ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা। তাঁদের আবেদনকে মান্যতা দিয়ে নতুন অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দারি করলেন বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ জারি থাকবে।

Advertisement

২০২১ সালের ৮ অক্টোবর খাদ্য দপ্তরে চুক্তিভিত্তিক ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে ১৬১ জন নিয়োগ করা হয়। চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় তাঁদের। কেন বরখাস্ত করা হল, তার কোনও কারণ দেখানো হয়নি। এরপর ২৪ জুন নতুন অস্থায়ী পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন বরথাস্ত হওয়া ১৬১ ডাটা এন্ট্রি অপারেটর।

[আরও পড়ুন: এবার থেকে প্রতি বছর TET, দায়িত্ব নিয়েই ‘কথা দিলেন’ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নয়া সভাপতি]

এদিন তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত। এই মামলায় রাজ্যকে হলফনামা পেশের নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি। মামলাকারীদের আইনজীবীর দাবি, অস্থায়ী কর্মীদের সরাতে হলে স্থায়ী নিয়োগ করতে হয়। কিন্তু রাজ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই নিয়ম মানা হয় না। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মামলাকারীরা। আদালতের নির্দেশের ফলে অস্থায়ী ডেটা এন্ট্রি পদে নতুন নিয়োগ করা যাবে না। যাঁরা যেখানে কাজ করছেন তাঁরা কাজ করবেন বলে দাবি মামলকারীদের আইনজীবীর। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৭ সেপ্টেম্বর।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে সাড়ে ৫ হাজার এবং ২০২২ সালে ১৫ হাজার ডাটা এন্ট্রি অপারেটর (Data Entry Operator)-সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা করা হয়। বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য সরকারের তরফে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা। অভিযোগ, নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও নিয়মই মানেননি দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা। এমনকী সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) গাইডলাইনও মানা হয়নি বলে অভিযোগ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা সইফুদ্দিন-সহ ১১ জন চাকরিপ্রার্থীর। মামলাকারীদের আইনজীবী পঙ্কজ হালদার, তাপস মান্নার দাবি, গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াই বেআইনি। টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: বাস ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে জনস্বার্থ মামলায় রাজ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা, ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করল হাই কোর্ট]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement